সব কিছুই ঠিক, সব যোগ্যতা আছে আপনার, লিখিত পরীরক্ষাও দিয়েছেন ভাল,
কিন্তু ইন্টারভিউতেই সব হয়ে যায় এলোমেলো। কি বলবেন, কি পরে যাবেন, হাততা
কোথায় রাখবেন, ইন্টারভিউ বোর্ডের সদস্যদের দিকে চাকিয়ে উত্তর দেবেন না চোখ
নামিয়ে রাখবেন এই সমস্ত চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন আর শেষে দেখা যায় জান
প্রশ্নটিও উত্তর দেয়া হয় না
অল্প কিছু মানুষ ছাড়া, মোটামোটি সবাই ইন্টারভিউকে ভয় পান। যারা পান না
তাদের মধ্যে কিছু হয়তো জন্মসুত্রে এই যোগ্যতা পেয়েছেন কিন্তু বেশিরভাগ ই এই
যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
প্রথমেই বলে রাখছি আমি নিজেও ইন্টারভিউতে ভাল না। আর সেজন্যই পড়ছি। কিভাবে
ভাল করা যায়। পড়তে পড়তেই এই লেখাটি পেলাম এক বিদেশি পত্রিকায়।
- ১। মনোযোগ দিয়ে শুনুন: টেনশনের কারণে অনেক সময়ই আমরা প্রশ্নকর্তার
প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে শুনি না। ফলে প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না।
তাছাড়, চাকরিদাতারা ভাল লিসেনার খোজেন। মোনোযোগ দিয়ে তাদের প্রশ্ন শুনলে
তারা বুঝবেন আপনি শুধু বলতে না শুনতেও পছন্দ করেন
- ২। পজিটিভ কথা বলুন : কখনই ইন্টারভিউতে আগের চাকরি সম্পর্কে নেতিবাচক
কিছু বলবেন না। নেতিবাচক মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। সব সময় পজিটিভ থাকার
চেষ্টা করুণ
- ৩। আগ্রহ দেখান: যে প্রতিষ্টানে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, সে সম্পর্কে প্রশ্ন
জিঙ্গাস করুন। বোঝাতে চেষ্টা করুন- আপনি এই চাকরিতের আগ্রহী। অফিসকে
পর্যবেক্ষণ করুন এবং প্রশংসা করুন
- ৪। আই কন্টাক করুন: যদি আপনি নিচে দিকে তাকিয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর দেন
তবে চাকরিদাতা এটাকে আত্নবিশ্বাসের অভাব মনে করবে। চোখের দিকে তাকিেয় উত্তর
দেয়ার চেষ্টা করুন
- ৫। হাসুন : হাসার চেষ্টা করুন। মনোবিঙ্গানীরা মনে করেন হাসি মানুষকে আকর্ষনীয় করে তোলে। এবং আত্নবিশ্বাসও বাড়াতে সাহায্য করে
- ৬।সাধারণভাবে উত্তর দিন : অনেক সময়ই আমরা তাক লাগিয়ে দিতে চাই। কিছু
কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করি। এটা অধিকাংশ সময়ই হিতে বিপরীত ঘটায়। সাধারণ
শব্দ ব্যবহার করুন। কখনও তাক লাগাতে যাবেন না
- ৭। “সব জানি” থেকে সাবধান : ইন্টারভিউতে আমরা অনেক সময়ই এমন কিছু আচরণ
করি যাতে বোঝাতে চাই আমরা সব জানি। পৃথীবির কেউ সব কিছু জানে না। না জানা
অপরাধ নয়। কিন্তু না জেনেও জানার ভাব করা অপরাধ। কোন প্রশ্নের উত্তর না
জানলে বলুন আপনি জানেন না