কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি : বন্ধুগণ,আমাদের মধ্যে অনেকেই কম্পিউটার কে নানান কাজে প্রতি নিয়ত ব্যবহার করে থাকি । কেউ এখানে গেম খেলেন,কেউ এক্সেল এ কাজ করেন,আবার কেউ এখানে অনলাইনে সিনিমা দেখেন।মোবাইলের মতো কম্পিউটার আমাদের দৈনিন্দ জীবনের সঙ্গী হয়ে গেছে।
এবার প্রশ্ন হচ্ছে ,অনেকেই কম্পিউটার চালাতে জানেন কিন্তু কম্পিউটার সম্পর্কে বিশেষ তথ্য জানা নেই তাদের,যেমন কম্পিউটার দুটি অংশে বিভক্ত একটি হার্ডওয়্যার (hardware) ও আরেকটি সফটওয়্যার (software) এছাড়া ইনপুট,আউটপুট ডিভাইস কি,এরা কিভাবে কাজ করে এই সব বিভিন্ন ধরণের তথ্য অনেকেই জানেনা।তাই আজ আমার এই আরটিকেল হার্ডওয়্যার কি বা হার্ডওয়্যার কাকে বলে সেই বিষয় টি আলোচনা করবো।
একটি কম্পিউটারকে চালনার জন্য ২ টি জিনিসের দরকার পরে এক হচ্ছে হার্ডওয়্যার ও আর এক হচ্ছে সফটওয়্যার।হার্ডওয়্যার সম্পর্কে বলার আগে সফটওয়্যার কি সেটা হালকা ভাবে জেনে নি।
একবিংশ শতাব্দী কম্পিউটার,মোবাইল ছাড়া আমাদের জীবনযাবন করা প্রায় অসম্ভব, আর এর মূল কারণ হচ্ছে ওই ডিভাইস গুলোতে চলা সফটওয়্যার বা অপ্প্স।
তাহলে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে সফটওয়্যার কী – সফটওয়্যার হচ্ছে অনেক গুলো প্রোগ্রমস এর কালেকশন,মানে একটি সফটওয়্যার অনেক গুলো প্রোগ্রম দ্বারা তৈরী হয়।
যেমন m.s word যেটা অনেক গুলো প্রোগ্রমস দিয়ে তৈরী এখানে আপনি লেখা লিখির কাজ করতে পারবেন সেইরকম vlc media তে আপনি ভিডিও দেখতে পারেবন এখানে আপনি কোনো লেখা লিখি করতে পারবেন না।
তো মাইন্ কথা হচ্ছে আলাদা আলাদা কাজের জন্য আলাদা আলাদা সফটওয়্যার তৈরী হয়েছে ,এটি কম্পিউটারের এমন পার্ট যা আমরা ছুতে পায় না,একরকম বলতে পারেন এটা একটা সিগন্যাল।
অপর দিকে হার্ডওয়্যার কম্পিউটেরর ফিজিক্যাল পার্ট যাকে আপনি দেখতে ও ছুতে পারবেন।CPU,UPS, monitor, Hard Disk, mother board , sound system,keyboard,mouse, এই গুলো সব হার্ডওয়্যার পার্ট ,এই গুলোকে আমরা ছুতে দেখতে পাবো।
এখানে জেনে রাখা দরকার হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার ছাড়া অচল,ঠিক সেইভাবে সফটওয়্যার কে চলতে হার্ডওয়্যার এর প্রয়োজন পরে।
যেমন আমি আগেই বললাম m.s word একটি সফটওয়্যার এখানে লেখা লেখির কাজ হয় তবে আপনি keyboard ছড়া এখানে কিছুই লিখতে পারবেন না। মাইন্ কথা হচ্ছে এরা একে ওপরের উপর নির্ভরশীল।
হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের এমন অংশ গুলি কে বলা হয় যাকে ছুতে ও দেখতে পাওয়া যায় ,যেটা জড়ো বস্তু যার ওজন আছে। যেমন monitor, Hard Disk, mother board,mouse এগুলোকে হাতে ধরা যায় এর ওজন আছে।
একটি কম্পিউটার অনেক গুলো উপাদান দিয়ে তৈরী হয় আর সেই সব উপাদান গুলোকে হার্ডওয়্যার বলে এই সব হার্ডওয়্যার পার্ট কানেক্ট করে কম্পিউটার যখন তৈরী হয় তারমধ্যে যে windose ইন্স্টল্ করা হয় এটা হচ্ছে সফটওয়্যার।
মানে সোজাভাবে বলতে হলে ,হার্ডওয়্যার যদি কম্পিউটারের বডি হয় তাহলে সফটওয়্যার হচ্ছে তার আত্মা।
চুলুন এবার দেখে নি হার্ডওয়্যার কিভাবে কাজ করে-
আপনি সফটওয়্যার কে যা কমান্ড (command বা instructions) দেন তা হার্ডওয়্যার ছড়া সম্পাদন হয় না।মানে কম্পিউটার on হওয়া থেকে off হওয়া পর্যন্ত যে কাজই কম্পিউটারে করেন না কেনো ,সেটা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দুজনে মিলেই করে।
উদহারণ স্বরূপ– ধরুন আপনি কম্পিউটারে ভিডিও দেখতে চান বা কোনো সিনেমা দেখবেন তাহলে আপনাকে কোনো একটা video player,যেমন VLC media player বা Kodi player,KM player যেকোনো একটি video player এর মাধ্যমে ভিডিও টি চালু করবেন।
যেমন এই ভিডিও প্লেয়ার এটা একটি সফটওয়্যার আর আপনি যে মনিটরে (monitor) ভিডিও টা দেখবেন সেটা একটি হার্ডওয়্যার বা হেডফোন/স্পীকার যে অডিও শুনবেন সেটা হার্ডওয়্যার পার্ট বা যে মাউস,কীবোর্ড ব্যবহার করবেন সেটাও একটি হার্ডওয়্যার।
মাইন্ কথা হচ্ছে কম্পিউটার এ এই দুজনের একত্রে যেকোনো কাজ সম্পূর্ণ হয়।
আমি আগেই বলেছি অনেক গুলো উপাদান একসঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার পর একটি কম্পিউটার মেশিন তৈরী হয়।এবার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের মধ্যে কয়টি অংশ থাকে সেটা একটু জানার চেস্ট করি।সাধারণত যে হার্ডওয়্যার উপাদান গুলো বাইরে থাকে সেগুলোকে Input device এবং Output device বলে। এবং গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার পার্ট গুলি কম্পিউটারে ভিতরে থাকে, যে গুলো বাইরে থেকে দেখা যায় না সেগুলোকে “internal হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্ট” বলে।
আমরা নিচে এই ৩ ধরনের কম্পিউটার কম্পোনেন্টস সম্পর্কে জানবো।এখানে আমরা কম্পিউটার ও ল্যাপটপ দুটোই ডিভাইস এর কথা বলবো যেহেতু ২ টির মধ্যে কোনো তফাৎ নেয় শুধু ল্যাপটপে সমস্ত কম্পোনেন্টস ছোটো এবং একসঙ্গে থাকে।
তাহলে চলুন Input device কোনগুলো জেনে নি-
ইনপুট ডিভাইস ওই হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্টস গুলোকে বলে যে কোনো ডাটা কম্পিউটারের মধ্যে পাঠাই যা আপনি control করেন বা আপনার দ্বারা পরিবেশন করা হয়।
কম্পিউটারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত বা প্রাথমিক ইনপুট ডিভাইস হলো কীবোর্ড (keyboard) এবং মাউস (mouse)। তবে এছাড়া আরো অনেক ইনপুট ডিভাইস আছে যেগুলো ডাটা সেন্ড করতে ব্যবহার করা হয়।নিচে তার কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল-
ইনপুট ডিভাইসের উদাহরণ :-
আউটপুট ডিভাইস বলা হয় ওই হার্ডওয়্যার পেরিফেরাল গুলোকে যে কম্পিউটার থেকে ডাটা রিসিভ করে।এই হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্টস গুলো ইনপুট ডিভাইস থেকে উল্টো মানে ইনপুট ডিভাইস ডাটা সেন্ড করে কম্পিউটারে আর আউটপুট ডিভাইস কম্পিউটার থেকে ডাটা গ্রহণ করে।
সাধারণত কম্পিউটারে মনিটর (monitor) ও প্রিন্টার (Printer) সবথেকে বেশি ব্যবহিত হয় আউটপুট ডিভাইস গুলির এর মধ্যে।তবে আরো অনেক আউটপুট ডিভাইস আছে যেগুলো ডাটা রিসিভ করতে ব্যবহার করা হয়।নিচে তার কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হল-
আউটপুট ডিভাইসের উদাহরণ :-
ইন্টারনাল মানে হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বা ভিতরে ,কম্পিউটারে ভিতরে ইনস্টল থাকা কোনও ডিভাইসকে ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার ডিভাইস বলা হয়।যেমন গ্রাফিস কার্ড (graphics card) যেটি কম্পিউটারে ভিতরে ইনস্টল করতে হয় তাই এটি একটি ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার।অপরদিকে পিন্টার (printer) যেটি বাইরে থাকে তাই এটি একটি আউটপুট ডিভাইস বা এক্সটার্নাল ডিভাইস।
কম্পিউটার এর মাইন্ হার্ডওয়্যার পার্ট হচ্ছে ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্টস।এখানে কম্পিউটারের খুব গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্টস গুলো মজুত থাকে,যেমন সিপিইউ,ram, হার্ডডিস্ক।এছাড়া আরো অনেক উপাদান আছে আমি নিচে বলে দিয়েছি একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপে যত গুলো ইন্টারনাল হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্টস ব্যবহার হয়।
অভ্যন্তরীণ কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ডিভাইস গুলি নিচে বলা হলো (Internal computer hardware devices) –
আমাদের শেষ কথা :-
আমরা উপরে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের মধ্যে কয়টি অংশ এবং সেই অংশ গুলিকে কি বলে তা বুঝার চেষ্টা করলাম।আশাকরি আপনাদের কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি (What is computer hardware) বা কম্পিউটার হার্ডওয়্যার পরিচিতি সম্পর্কে এবার ধারণা এসেছে।এছাড়া আরো কিছু জানতে বা বুঝতে চাইলে অবশই কমেন্ট করুন।
Source: Techjaman