RAM এর পূর্ণরূপ হলো (Random Access Memory)। ram সাধারণত মাদারবোর্ড এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে,এটি সুপার ফাস্ট (super-fast) অস্থায়ী মেমোরি যা কম্পিউটার,মোবাইলে বন্ধ বা switched off করলে তার কাজ শেষ হয়, এবং এর মধ্যে থাকা সব ইনফরমেশন বা তথ্য মুছে যায়।
আপনি কম্পিউটারে BIOS (basic input/output system) এর সাহায্যে র্যাম এ মুজুত থাকা তথ্য গুলিকে চেক করতে পারেন।তাহলে চলুন এবার দেখি ram কিভাবে কাজ করে।
ram বা Random Access Memory কিভাবে কাজ করে আমরা একটি উদহারণ দিয়ে বুঝার চেষ্টা করছি,
ধরুন আপনি অফিসে নিজের টেবিলে বসে আছেন এবং কোনো একটি কাজ করার জন্য আপনার একটি ফাইলের প্রয়োজন হলো,কিন্তু সেই ফাইল টি অন্য ঘরে আছে,
তাহলে আপনি যখন কাজ শুরু করবেন তখন আপনাকে সেই ফাইল টি আনতে ওই ঘরে যেতে হবে এবং সেটি আনার পরে নিজের টেবিলে রেখে কাজ করবেন।
কিন্তু এখন আপনি মাত্র ১ টি কাজ করছেন,কিন্তু যখন অনেক গুলো কাজ একসঙ্গে করবেন তখন অনেক গুলো ফাইল থাকবে এবং অনেক গুলো ফাইল রাখার জন্য বড় টেবিলের প্রয়োজন পড়বে।
তারফলে আপনার যখনই যে ফাইল দরকার পড়বে সেটা কাছেই টেবিলে পেয়ে যাবেন, এবার যখন আপনার কাজ শেষ হয়ে যাবে তখন সব ফাইল আবার সেই ঘরে রেখে আসবেন, তো আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে যে ram থাকে ঠিক এই ভাবে কাজ করে।
অন্য ঘরে যেখানে ফাইল গুলো মুজুত রয়েছে সেটা ধরুন মোবাইলের ইন্টারনাল মেমরি বা কম্পিউটার হার্ডডিস্ক যেখানে আপনার সব app,সফটওয়্যার বা file মজুত থাকে বা স্টোর থাকে।
আর যে টেবিলে বসে কাজ করছেন সেটা ram, তো এখানে ram এর কাজ হচ্ছে আপনি যে app বা file অথবা যতগুলো ফাইল বা সফটওয়্যার একসঙ্গে চাইবেন সেগুলি ইন্টারনাল মেমরি বা হার্ডডিস্ক থেকে এনে আপনার নির্দেশে রান (run) করবে।
এবার যত বেশি ram (যত বড়ো টেবিল) থাকবে তত বেশি ফাইল বা বড়ো বড়ো এপ্লিকেশন লোড করতে পারবে।
আরো সহজ ভাবে বলতে হলে,
ধরুন আপনি মোবাইল কে কোনো নির্দেশ দিলেন,যথা কোনো একটি গেম এপ্লিকেশন এ টাচ করলেন, সেই নির্দেশ সিপিইউ (processor) এর কাছে যাবে এবং সিপিইউ সেই নির্দেশ ram কে দিবে এবার ram সেই ফাইল বা গেম কে storage (ইন্টারনাল মেমরি/হার্ডডিস্ক) থেকে নিয়ে run করবে তারপর আপনার সেই গেম ওপেন হবে।
আপনি যখন কোনো app বা game মোবাইলে ও সফটওয়্যার কম্পিউটার এর মধ্যে ইনস্টল করেন তখন সেটি ইন্টারনাল মেমরি/হার্ডডিস্ক এ লোড হয় কিন্তু রান করে ram।
এখানে ram যদি বেশি থাকে তাহলে তত বেশি ফাইল ওপেন করতে পারবে,আর কম থাকলে slow হবে বা হ্যাং করবে।এবার নিশ্চয়ই মোবাইল বা পিসি কেন slow হয় বুঝতে পারছেন।
মূলকথা হচ্ছে সিপিইউ এবং ram আপনার নির্দেশ মত কাজ করে যায়,কিন্তু আপনি ডাইরেক্ট র্যাম কে নির্দেশ দিতে পারবেন না,সিপিইউ যখন র্যাম এর প্রয়োজন পরে তখন সে র্যাম কে নির্দেশ দেয়।