Electrical Tips for Engineers Viva (ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ভাইভার জন্য প্রয়োজন)
১। প্রঃ টিউব লাইট কত ফুট লম্বা ও কত ওয়াটের হয় ? উ : ৪ ফুট ৪০ ওয়াট এবং ২ ফুট ২০ ওয়াট সাধারনত।
২। প্রঃ স্টার্টার ছাড়া টিউব লাইট জ্বালানো যায় কি ?
উঃ হ্যা যায়, পুশ বাটন সুইচ ব্যবহার করে অথবা তারে তারে সংযোগ করেই বিচ্ছিন্ন করে দিতে হয়।
৩। প্রঃ টিউব লাইট এক বার জ্বলে আবার পর মুহুর্ত্তেই নিভে এরূপ করতেছে – দোষ কোথয়? উঃ স্টার্টার খারাপ কাজ করতেছে না।
৪। প্রঃ টিউব লাইটের দুই দিক জ্বলে থাকে পূর্ন ভাবে জ্বলে না – কারন কি ? উঃ টিউবের ভিতর প্রয়োজনীয় গ্যাস নাই, অথবা
প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ পাচ্ছেনা, অথবা স্টার্টার সার্কিট ব্রেক করতেছে না অথবা
চোক কয়েল দুর্বল হয়েপরেছে।
৫। সুইচ অফ করা সত্বেও হোল্ডারে সাপ্লাই পাত্তয়া যায়। উ :সুইচ লাইনে ব্যবহার না করে নিউট্রালে ব্যবহার করা হয়েছে।
৬। কলিং বেলের আওয়াজ খুব বেশী কি ভাবে কমাবে ? উ : কম পাওয়ারের বাতি কলিং বেলের সাথে সিরেজে ব্যবহার করে।
৭। একটি ডিসি জেনারেটর পূর্ণ স্পিডে ঘুরতেছে কিন্তু ভোল্টেজ উৎপন্ন হইতেছে না- কারন কি? উ: (১) ফিল্ডে রেসিডিয়্যাল মেগনেটিজম নেই (২) জেনারেটর উল্টা ঘুরতেছে (৩) ফিল্ডের কয়েল ওপেন (৪) আর্মেচার কয়েল ওপেন (৫) কার্বন ব্রাসের কম্যুটেটরে সংযোগ নেই।
৮। স্টার্টার মোটরর্স্টাট দেয়া ছারা আর কি কি কাজ করে? উ: ইহা ওভার লোডে এবং সাপ্লাই চলে গেলে মোটরকে সোর্স হতে আপনা আপনি বিচ্ছিন্ন করে।
৯। একটি ১০ হর্স পাওয়ারের মোটর দ্বারা ১০ হর্স পাওয়ারের জেনারেটর ঘুরিয়ে তাহা হতে ১০ হর্স পাওয়ার জেনারেশন পাওয়া যাবে কি? উ: না, কারন কখনও ইনপুট আউটপুট সমান হয় না।
১০। ডায়নামো কি ? উ: ডিসি জেনারেটরকে ডায়নামো বলে।
১১। কোন প্রকার ওয়্যাইন্ডিং কখন ব্যবহ্নত হয় ? উ: ল্যাপ ওয়্যাইন্ডিং বেশী কারেন্টের জন্য এবং ওয়েভ ওয়্যাইন্ডিং বেশী ভোল্টেজের জন্য ব্যবহ্নত হয়।
১২। তিন ফেজ হতে এক ফেজ নেয়া যায় কি ? উ: হ্যাঁ, যদি স্টার কানেকশন থাকে, তবে একটি লাইন ও নিউট্রালে এক ফেজ সাপ্লাই পাওয়া যায়।
১৩। সিলিং ফ্যানের স্পিড কমে যাওয়ার কারন কি? উ: পূর্ণ ভোল্টেজ পাচ্ছে না, না হয় ক্যাপাসিটর দুর্বল না হয় বল বিয়ারিং জ্যাম, না হয় কয়েলের ইন্সুলেশন দূর্বল।
১৪। পাখা পূর্ণ বেগে ঘুরা সত্বেও বাতাস পাওয়া যায় না কেন ? উ: পাখার ব্লেডের বাক কম না হয় পাখার পিছনে প্রয়োজনীয় ফাকা জায়গা নেই।
১৫। পাখা উল্টা ঘুরে গেলে কি ভাবে ঠিক করবে ? উ: ক্যাপাসিটরের কয়েল কানেকশন বদল করে, আথবা হয় রানিং না হয় র্স্টাটিং কয়েল বদল করে ঠিক করা যায়।
১৬। সিলিং ফ্যানের কোন দিকের বল বিয়ারিং সাধারনতঃ আগে খারাপ হয় ? উ: উপরের বিয়ারিং খারাপ হয়।
১৭। সিলিং ফ্যান স্টার্ট দেওয়ার সংঙ্গে সংঙ্গে ইহার কানেকটিং রডে খট খট আওয়াজ হয়ে পরে আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায় কারন কি ? উ: ইহার রডে রাবার বুশ নেই।
১৮। কোন মোটর এসি এবং ডিসি উভয় সাপ্লাই এ চলে ? উ: ইউনিভার্সাল মোটর (ডিসি সিরিজ মোটর) ।
১৯। তিন ফেজ মোটর উল্টা ঘুরতেছে, কিভাবে ঠিক করবে ? উ: ইহার যে কোন দুই ফেজের জায়গা বদল করে দিতে হবে।
২০। চলন্ত অবস্থায় তিন ফেজ মোটরেরএক ফেজ চলে গেলেকি হবে ? উ : যদি লোড বিহীন অবস্থায় থাকে তবে মোটর
ঘুরতে থাকবে কিন্তু গরম হয়েযাবে এবং ভিন্ন রকম আওয়াজ করবে। আর যদি লোডেড
অবস্থায় থাকে , তবে মোটরসঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে। যদি মেইন সুইচ অফ করে
দেওয়া না হয়, তবে মোটরজ্বলে যাবে
২১। তিন ফেজ ২০ ঘোড়া মোটরের জন্য ক্রয়কৃত স্টার ডেল্টা স্টার্টার ১০ ঘোড়া তিন ফেজ মোটরের ব্যবহার করা যাবে কি ? উ : হ্যাঁ, যাবে তবে কারেন্ট সেটিং এর মান কমিয়ে দিতে হবে।
২৩। ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স কি মিটার দ্বারা মাপা হয় ? উ : মেগার দ্বারা।
২৪। আর্থ রেজিস্ট্যান্স কি ভাবে মাপা হয় ? উ : মেগার আর্থ টেস্টারের সাহায্যে অথবা
মোটামুটি ভাবে একটি ১০০ওয়াটের বাতি আর্থ তার লাইনের মধ্যে সংযোগ করার পর
যদি উজ্জ্বল ভাবে জ্বলে , তাহলে আর্থিং ভাল আছে।
২৫। আর্থিং রেজিস্ট্যান্স কত হওয়া বান্ছনীয় ? উ : বাসাবাড়ীর জন্য বেশীর পক্ষে ৫ ওহম এবং সাব স্টেশন ও পাওয়ার লাইনের জন্য বেশীর পক্ষে ১ ওহম হওয়া দরকার।
২৬। কোন ট্রান্সফরমারের কেবল মাত্র একটি কয়েল থাকে ? উ : অটো ট্রান্সফরমার।
২৭। ট্রান্সফরমার হামিং কি ? উ : ট্রান্সফরমারের কোর এবং কয়েল কানেকশন
যদি মজবুত ভাবে না করাথাকে, লুজ কানেকশন থাকে তাহলে ফুল লোড অবস্থায় কাঁপতে
থাকে এবং এক প্রকারআওয়াজ হয়, তাহাই হামিং।
২৮। ট্রান্সফরমার গরম হওয়ার কারন কি ? উ : (১) ওভার লোড হওয়ার জন্য হতে পারে (২) ইন্সুলেশন দুর্বল হয়ে গেলে (৩) কোথাও আর্থ হয়ে গেলে (৪) ওভার ভোল্টেজ সাপ্লাইয়ের জন্য।
২৯। সিলিকা জেলের স্বাভাবিক রং কি রূপ থাকে ? উ : ভাল অবস্থায় ধব ধবে সাদা, কিন্তু জলীয় বাস্প গ্রহন করলে কিছুটা বাদামী রং এর হয়ে যায়,আবার উত্তাপ দিলে ইহা সাদা হয়ে যায়।
৩০। ট্রান্সফরমার তৈলের কাজ কি ? উ : ইহার প্রধান কাজ দুটি- প্রথমত ইহা ইন্সুলেশনের কাজ করে, দ্বিতীয়ত ট্রান্সফরমারকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্যে করে।
৩১। ব্রিদার কি ? উ : ইহা ট্রান্সফরমারের কনজার্ভেটরের সহিত
লাগানো থাকে, যার মাধ্যমেবাহির হতে ঠান্ডা বাতাস ফিল্টার হয়ে ট্যাংকে ঢুকে
এবং গরম বাতাস ট্যাংক হতেবাহির হয়ে যায়।
৩২। বুকল্স রিলে কি ? উ : ইহা এক প্রকার রিলে যাহা ট্রান্সফরমারের
ট্যাংক ও কনজার্ভেটরেরসংযোগকারী পাইপের মধ্যে বসানো থাকে এবং
ট্রান্সফরমারের ভিতরেত্রুটি দেখাদিলে সর্তক ঘন্টা বাজিয়ে থাকে।
৩৩। গার্ড ওয়্যার কি ? উ : ট্রান্সমিশন লাইনের নীচে ব্যবহ্নত তার, যাহা আর্থের সহিত সংযোগ থাকে।
৩৪। ব্যাটারীর সলিউশন তৈরির সময় এসিড পানিতে না পানি এসিডে মিশাতে হয় ? উ : এসিড পানিতে মিশাতে হয়।
৩৫। জাম্পার কি ? উ : মেইন লাইন হতে বাসা বাড়ীতে সাপ্লাই লাইনের সংযোগ রক্ষাকারী তার।
৩৬। ডেম্পার ওয়্যাইন্ডিং কি ? উ : সিনক্রোনাস মোটরকে র্স্টাট দেওয়ার জন্য
ইহার পোলের উপর মোটাতারের ওয়্যাইন্ডিং দেওয়া হয় এবং ইহা অল্টারনেটরে ও
ব্যবহ্নত হয় হান্টিং দোষ কমানোর জন্য।
৩৭। CB কি ? উ : সার্কিট ব্রেকার যাহা ক্রটি পূর্ণলাইনকে আপনা আপনি র্সোস হতে বিচ্ছিন্ন করে।
৩৮। A.C কে D.C এবং D.C কে A.C কিভাবে করা হয় ? উ : A.C কে D.C করা হয় রেকটিফায়ার অথবা রোটারী কনভার্টার দ্বারা এবং D.C কে A.C করা হয় ইনভার্টার দ্বারা।
৩৯। সোল্ডারিং বলতে কি বোঝ? এতে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ কি কি ও এদের অনুপাত কত?
উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক ধাতব
পদার্থ সংযুক্ত বা একত্রিত করা হয় তাকে সোল্ডারিং বলে। এতে ব্যবহৃত
উপাদান সমূহ হচ্ছে সীসা ও টিন, এদের অনুপাত ৪০ঃ৬০।
৪০। সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয় কেন বা এর সুবিধা কি?
উত্তরঃ সংযোগস্থল ভালভাবে পরিষ্কার এবং মজবুত করার জন্য সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয়।
৪১। রেজিস্টর কি? বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টরের নাম লিখ।
উত্তরঃ ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স
সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহকে সীমিত রাখার জন্য এবং কারেন্ট প্রবাহের পথে
বাথা দেয়ার জন্য যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে রেজিস্টর বা রোধক বলে। বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টর: কার্বন রেজিস্টর, ওয়্যারউন্ড রেজিস্টর, সিরামিক রেজিস্টর, ফিল্ম টাইপ রেজিস্টর ইত্যাদি।
৪২। কালার কোড পদ্ধতি কি? বিভিন্ন রং এর মান লিখ।
উত্তরঃ রেজিস্টরের গায়ের রং দেখে রেজিস্টরের মান নির্নয় করার পদ্ধতিকে কালার কোড পদ্ধতি বলে।
৪৩। রেজিস্টেন্স, ক্যাপাসিটেন্স ও কন্ডাকটেন্স বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ রেজিস্টেন্স: রেজিস্টর যে ধর্মের কারনে বাধা প্রদান করে সেই ধর্মকে রেজিস্টেন্স বলে।
ক্যাপাসিটেন্স: ক্যাপাসিটরের যে বৈশিষ্টের কারনে চার্জ সঞ্চয় বা ধারন করে তাকে ক্যাপাসিটেন্স বলে।
কন্ডাকটেন্স: কন্ডাকটর যে বৈশিষ্টের কারনে এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ করে তাকে কন্ডাকটেন্স বলে।
৪৪। টলারেন্স ব্যান্ড বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ কোন রেজিস্টরের শেষ কালার বা ব্যান্ডকে টলারেন্স ব্যান্ড বলে। যা রেজিস্টরের মানের ভারসম্য রক্ষা করে।
৪৫। ইলেকট্রনিক্স কাজে কোন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ ইলেকট্রনিক্স কাজে কার্বন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়।
৪৬। কন্ডাক্টর, সেমিকন্ডাক্টর ও ইনসুলেটর বলতে কি বোঝ? উত্তরঃ কন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর কম তাকে কন্ডাকটর বলে। সেমিকন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ টি তাকে সেমিকন্ডাক্টর বলে। ইনসুলেটর: যে পদার্থের ভ্যালেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর বেশি তাকে ইনসুলেটর বলে।
৪৭। ত্রিযোজি ও পঞ্চযোজি মৌল কি? কয়েটির নাম লিখ।
উত্তরঃ ত্রিযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৩টি তাকে ত্রিযোজি মৌল বলে। যেমন: গ্যালিয়াম, ইন্ডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, বোরন ইত্যাদি।
পঞ্চযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৫টি তাকে পঞ্চযোজি মৌল বলে। যেমন: আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি।
৪৮। জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি ব্যবহৃত হয় কেন?
উত্তরঃ জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি
ব্যবহৃত হয় কারণ জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি তাপ সহ্য করতে পারে
এবং সিলিকনের দাম কম।
৪৯। হোল, ইলেকট্রন ও ডোপিং বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ হোল: হোল বলতে এটমের মধ্যে ইলেকট্রনের ঘাটতি জনিত সৃষ্ট (+) ve চার্জের আধিক্যকে বুঝায়।
ইলেকট্রন: এটি পরমাণুর ক্ষুদ্রতম ও গুরুত্বপূর্ণ কণিকা যা নেগেটিভ চার্জ বহন করে।
ডোপিং: খাঁটি সেমিকন্ডাকটরে ভেজাল মিশ্রিত করে এর পরিবাহীতা বৃদ্ধি করার পদ্ধতি বা কৌশলকে ডোপিং বলে।
৫০। কো-ভ্যালেন্ট বন্ড ও ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ কো-ভ্যালেন্ট বন্ড: পরমাণুর শেষ
কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহ যে বন্ধনের মাধ্যমে একটি আরেকটির সাথে
সংযুক্ত থাকে সেই বন্ধনকে কো-ভ্যালেন্ড বন্ড বলে।
ভ্যালেন্স ইলেকট্রন: পরমাণুর শেষ কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহকে ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলে।
৫১। সেমিকন্ডাকটর কত প্রকার ও কি কি ? এদের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার। ১) খাঁটি সেমিকন্ডাকটর ২) ভেজাল সেমিকন্ডাকটর
খাঁটি সেমিকন্ডাক্টর: ডোপিং এর পূর্বে বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাকটরকে খাঁটি সেমিকন্ডাক্টর বলে।
ভেজাল সেমিকন্ডাকটর: ডোপিং এর পরে ভেজালযুক্ত সেমিকন্ডাকটরকে ভেজাল (Extrinsic) সেমিকন্ডাক্টর বলে।
ভেজাল সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার: ১) পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর ২) এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর
পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি
সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজি মৌল যেমন:
ইন্ডিয়াম, গ্যালিয়াম, অ্যালূমিনিয়াম ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে
পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি
সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী মৌল যেমন:
আর্সেনিক, এন্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে এন-টাইপ
সেমিকন্ডাক্টর বলে।
৫২। সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধা লিখ। উত্তরঃ সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা: ১) সেমিকন্ডাক্টরে কম পাওয়ার লস হয়। ২) এর কোন তাপশক্তির প্রয়োজন হয় না। ৩) সেমিকন্ডাকক্টরের আয়ুষ্কাল অনেক বেশি। ৪) এটি দ্বারা তৈরী ডিভাইস খুব ছোট হয়। ৫) এটি ভঙ্গুর নয়। সেমিকন্ডাক্টরের অসুবিধা: ১) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেমিকন্ডাকটরের কন্ডাকটিভিটি বৃদ্ধি পায়। ২) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কো – ভ্যালেন্ড বন্ড ভেঙ্গে মুক্ত ইলেকট্রনের সৃষ্টি হয়। ৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে রেজিস্ট্যান্স কমে এবং তাপমাত্রা কমলে রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায়।
৫৩। বায়াসিং বলতে কি বোঝ? ইহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ কোন ট্রানজিস্টরকে সচল করার জন্য বাহির থেকে যে ডি.সি সাপ্লাই দেয়া হয় তাকে বায়াসিং বলে।
বায়াসিং দুই প্রকার: ১) ফরোয়ার্ড বায়াসিং ২) রিভার্স বায়াসিং
ফরোয়ার্ড বায়াসিং: ব্যাটারির P প্রান্ত
পজিটিভের সাথে এবং N প্রান্ত নেগিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াসিং করা হয়
তাকে ফরোয়ার্ড বায়াসিং বলে।
রিভার্স বায়াসিং: ব্যাটারির P প্রান্ত
নেগিটিভের সাথে এবং N প্রান্ত পজিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াসিং
করা হয় তাকে রিভার্স বায়াসিং বলে।
৫৪। লিকেজ কারেন্ট বলতে কি বোঝায়?
উত্তরঃ মাইনোরিটি ক্যারিয়ারের জন্য পি-এন জাংশন ডায়োডে যে সামান্ন কারেন্ট প্রবাহিত হয় তাকে লিকেজ কারেন্ট বলে।
৫৫। নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ কাকে বলে?
উত্তরঃ পি-এন জাংশন ডায়োডে ফরোয়ার্ড ভোল্টেজের যে মানে ফরোয়ার্ড কারেন্ট বৃদ্ধি পায় তাকে নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ বলে।
৫৬। ডিফিউশন ও ডিফিউশন কারেন্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ ডিফিউশন: জাংশন ভেদ করে হোল ও ইলেকট্রনের চলাচলের প্রবণতাকে ডিভিউশন বলে।
ডিফিউশন কারেন্ট: ডিভিউশন এর কারণে উচ্চ অঞ্চল থেকে নিু অঞ্চলে সৃষ্ট কারেন্ট প্রবাহকে ডিভিউশন কারেন্ট বলে।
৫৭। ডিপ্লে¬শন লেয়ার কাকে বলে?
উত্তরঃ পি-টাইপ ও এন-টাইপ এর সমন্বয়ে যে ইলেক্টিক ফিল্ড সৃষ্টি করে তাকে ডিপ্লে¬শন লেয়ার বলে।
৫৮। ডায়োডের লোড লাইন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ফরোয়ার্ড বৈশিষ্ট রেখার উপর ডায়োডের কারেন্ট ও ভোল্টেজ এর সঠিক মান নির্নয় করা হয় তাকে ডায়োডের লোড লাইন বলে।
৫৯। কুইসেন্ট বিন্দু কাকে বলে?
উত্তরঃ ডায়োডের স্ট্যাটিক বৈশিষ্ট রেখা ও
লোড লাইনের ছেদ বিন্দুকেই অপারেটিং বা কুইসেন্ট বিন্দু বলে। এর
মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট লোড রেজিস্টেন্স যে কোন ডায়োডে কি পরিমাণ ভোল্টেজের
জন্য কি পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহ হচ্ছে তা জানতে পরি।
৬০। ফিল্টার সার্কিট কাকে বলে ? উহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ যে সার্কিটের মাধ্যমে পালসেটিং ডিসি কে খাঁটি ডিসি তে পরিণত করা হয় তাকে ফিল্টার সার্কিট বলে।
ইহা পাঁচ প্রকারঃ ১) সান্ট ক্যাপাসিটর ফিল্টার ২) সিরিজ ইন্ডাক্টর ফিল্টার ৩) ইন্ডাক্টর ও ক্যাপাসিটর ফিল্টার ৪) রেজিস্টেন্স ও ক্যাপাসিটেন্স ফিল্টার ৫) ফিল্টার
৬১। রিপল ও পালসেটিং ডিসি কাকে বলে?
উত্তরঃ রিপল: রেক্টিফায়ারের আউটপুট
একমুখী হলেও ইহা waveform আকৃতিতে থাকে অর্থাৎ এ আউটপুটে AC এবং DC উভয়
ধরণের কম্পোনেন্ট বিদ্যমান থাকে।
পালসেটিং ডিসি: রেক্টিফায়ারের আউটপুটে
যে ডিসি পাওয়া যায় তা সম্পূর্ণ খাঁটি ডিসি নয়, এতে কিছুটা এসির প্রবণতা বা
বৈশিষ্ট থাকে, এসি যুক্ত এ ডিসিকে পালসেটিং ডিসি বলে।
৬২। জিনার ডায়োড কি? ইহা কোন রিজিয়নে কাজ করে?
উত্তরঃ অত্যাধিক পরিমাণে ডোপিংকৃত
সিলিকন দ্বারা তৈরি পি.এন. জাংশন ডায়োড, যা রিভার্স বায়াস প্রয়োগে শার্প
ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ প্রদর্শন করে তাকে জিনার ডায়োড বলে। ইহা ব্রেক ডাউন
রিজিয়নে কাজ করে।
৬৩। জিনার ডায়োডকে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ যদি কোন কারণে লোড কারেন্ট বাড়ে
বা কমে তবে জিনার ডায়োড জিনার ক্রিয়ার মাধ্যমে তার কারেন্টকে সম পরিমাণ
কমিয়ে বা বাড়িয়ে স্থির মানে রাখতে পারে বলে একে ভোল্টেজ ষ্ট্যাবিলাইজার
হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৬৪। ডায়াক ও ট্রায়াক এর ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ ট্রায়াকের ব্যবহার: ১) উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাম্পের সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ২) ইলেক্ট্রনিক সার্কিটের মাধ্যমে ট্রান্সফরমারের ট্যাপ চেঞ্জিং – এ ব্যবহৃত হয়। ৩) রেডিও এর ইন্টাফারেন্স কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ৪) মোটরের গতিবেগ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়। ৫) লাইট কন্ট্রোল সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।
ডায়াকের ব্যবহার: ১) ট্রায়াককে ট্রিগারিং করতে ব্যবহৃত হয়। ২) আলো নিয়ন্ত্রণ সার্কিটে ব্যবহৃত হয়। ৩) তাপ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়। ৪) ইউনিভার্সাল মটরের গতি নিয়ন্ত্রণ করণে ব্যবহৃত হয়।
৬৫। কয়েকটি বিশেষ ধরনের ডায়োডের নাম লিখ। উত্তরঃ জিনার ডায়োড, টানেল ডায়োড এবং লাইট ইমিটিং ডায়োড।
উত্তরঃ ভ্যারাক্টর ডায়োড: পরিমিত ভেজাল
মিশ্রিত পি-টাইপ ও এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর দ্বারা তৈরী রিভার্স বায়াসে
পরিচালিত, যার জাংশন ক্যাপাসিট্যান্স বায়াস পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয়
তাকে ভ্যারাক্টর ডায়োড বলে।
ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি: আউটপুট
কারেন্ট এর সাথে ইনসিডেন্ট লাইট এর অনুপাতকে ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি
বলা হয়। আউটপুট কারেন্ট ইনসিডেন্ট লাইটের সাথে সুষমভাবে পরিবর্তিত হয়।
৬৭। সোলার সেল এর অপর নাম কি?
উত্তরঃ ফটো ভোল্টেইক সেল এবং এনার্জি কনভার্টার।
৬৮। রেকটিফিকেশন কেন করা হয়?
উত্তরঃ এসিকে বা দ্বিমুখী কারেন্টকে একমুখী কারেন্টে রূপান্তর বা রেকটিফাই করার জন্য রেকটিফিকেশন করা হয়।
৬৯। SCR কে কত ভাবে ON করা যায়?
উত্তরঃ SCR কে পাঁচ ভাবে ON করা যায়, যথা: ১) গেইট ট্রিগারিং পদ্ধতি। ২) থার্মাল ট্রিগারিং পদ্ধতি। ৩) রেডিয়েশন ট্রিগারিং পদ্ধতি। ৪) ভোল্টেজ ট্রিগারিং পদ্ধতি। ৫) ট্রিগারিং পদ্ধতি।
ইলেকট্রিক্যাল শর্ট নোট
৭০। কারেন্ট কাকে বলে? পরিবাহী পদার্থের মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রন
সমূহ একটি নিদ্রিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকেই কারেন্ট বলে। ইহাকে I বা i
দ্বারা প্রকাশ করা হয়, এর একক অ্যাম্পিয়ার (A বা Amp.) অথবা
কুলম্ব/সেকেন্ড ।
৭১। ভোল্টেজ কাকে বলে?
পরিবাহী পদার্থের পরমাণুগুলির মুক্ত ইলেকট্রন সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে
বল বা চাপের প্রয়োজন সেই বল বা চাপকেই বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে। একে
V দ্বারা প্রকাশ করা হয় এর একক Volts.
৭২। রেজিষ্ট্যান্স কাকে বলে?
পরিবাহী পদার্থের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় পরিবাহী পদার্থের যে বৈশিষ্ট্য বা ধর্মের কারণে উহা বাধাগ্রস্ত হয় উক্ত
বৈশিষ্ট্য বা ধর্মকেই রোধ বা রেজিষ্ট্যান্স বলে। এর প্রতীক R অথবা r, আর একক ওহম (Ω)।
৭৩। ট্রান্সফরমার
ট্রান্সফরমার একটি ইলেক্ট্রিক্যাল মেশিন যা পরিবর্তনশীল
বিদ্যুৎকে (Alternating current) এক ভোল্টেজ থেকে অন্য ভোল্টেজে রূপান্তরিত
করে। ট্রান্সফরমার স্টেপ আপ অথবা স্টেপ ডাউন দুই ধরনের হয়ে থাকে এবং
এটি ম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন (Magnetic induction) নীতি অনুসারে কাজ
করে। ট্রান্সফরমারে কোন চলমান/ঘূর্ণায়মান অংশ থাকে না, এটি সম্পূর্ণ
স্থির ডিভাইস। ট্রান্সফরমারে দুটি উইন্ডিং থাকে, প্রাইমারি এবং
সেকেন্ডারি উইন্ডিং । প্রাইমারি ওয়াইন্ডিয়ে ভোল্টেজ প্রদান করলে
ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয় এবং ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স আয়রন কোরের মধ্য
দিয়ে সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিয়ে যায় এবং সেখানে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। যার
ফলশ্রুতিতে সেকেন্ডারি কয়েলে ভোল্টেজ পাওয়া যায়। ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ
পরিবর্তনের
হার প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি কয়েলের প্যাঁচ সংখ্যার হারের উপর নির্ভর করে।
তবে মনে রাখবেন, ট্রান্সফরমার শুধু ভোল্টেজের পরিবর্তন ঘটায় কিন্তু পাওয়ার
ও ফ্রিকুয়েন্সি অপরিবর্তিত থাকে। পাওয়ার ঠিক থাকে তাই ভোল্টেজ পরিবর্তনের
জন্য কারেন্টেরও পরিবর্তন হয়।
৭৪। ট্রান্সফরমেশন রেশিও
উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের উভয় দিকের ইন্ডিউসড ভোল্টেজ এবং কারেন্ট ও কয়েলের প্যাচের সংখার সাথে একটি
নিদ্রিস্ট অনুপাত মেনে চলে, ইহাই ট্রান্সফরমেশন রেশিও বা টার্ন রেশিও। ইহাকে সাধারণত a দ্বারা প্রকাশ করা হয়,
অর্থাৎ a = Ep/Es = Np/Ns = Is/Ip৬। ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার CT (Current Transformer) এটি সাধারণত কম
রেঞ্জের মিটার দিয়ে সার্কিটের বেশি পরিমান কারেন্ট পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। PT (Potential
Transformer) এটি সাধারণত কম রেঞ্জের মিটার দিয়ে সার্কিটের বেশি পরিমান ভোল্টেজ পরিমাপ করার জন্য
ব্যবহার করা হয়। CT ও PT এভাবে ব্যবহার করা হলে এগুলোকে ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার বলে।
৭৫। সার্কিট ব্রেকার
সার্কিট ব্রেকার হলো একটি বৈদ্যুতিক সুইচিং ডিভাইস যা দ্বারা ইলেকট্রিক্যাল
সার্কিটকে সাপ্লাই হতে সংযুক্ত ও বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে এটি ইলেকট্রিক্যাল
সার্কিটে নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষন যন্ত্র হিসাবে কাজ করে। ওভার লোড বা শর্ট
সাকিট দেখা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঐ ইলেকট্রিকাল সার্কিটকে সরবরাহ থেকে
বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তবে সার্কিট ব্রেকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্কিটে সংযোগ
করেনা ।
৭৬। আইসোলেটর
বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিশেষ করে ট্রান্সফরমারকে নো-লোড
অবস্থায় বা সামান্য লোড অবস্থায় লাইন হতে বিচ্ছিন্ন করার জন্য আইসোলেটর
ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ আইসোলেটর এক ধরনের সুইস, যা অফলাইনে অপারেটিং
করা হয়।
৭৭। সাব-স্টেশন কাকে বলে?
পাওয়ার সিস্টেম ব্যবস্থায় সাব-স্টেশন এমন এক কেন্দ্র যেখানে এমন
সব সরঞ্জামাদির ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্য
যেমন- ভোল্টেজ, এসি/ডিসি কনভার্সন, ফ্রিকুয়েন্সি, পাওয়ার ফ্যাক্টর ইত্যাদির
পরিবর্তনে সাহায্য করে, এ ধরনের কেন্দ্রকে সাব-স্টেশন বা
বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বলে।
৭৮। পাওয়ার লাইন ক্যারিয়ার (PLC)
যে লাইনের মাধ্যমে পাওয়ার স্টেশন, সাব-স্টেশন, রিসিভিং স্টেশনে নিজস্ব জরুরী যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা টেলিফোনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়
তাকে পাওয়ার লাইন ক্যারিয়ার (PLC) বলে।
৭৯। Q-ফ্যাক্টর
AC সার্কিটে সিরিজ রেজোন্যান্সের সময় সার্কিটের L অথবা C এর আড়াআড়িতে ভোল্টেজ প্রয়োগকৃত ভোল্টেজের তুলনায় বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
রেজোন্যান্সের কারনে সৃষ্ট এই ভোল্টেজ বেড়ে যাওয়াকে সিরিজ রেজোনেন্ট সার্কিটের Q-ফ্যাক্টর (Quality Factor) বলে।
৮০। পাওয়ার ফ্যাক্টর
পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর হল একটিভ পাওয়ার অর্থাৎ যে পাওয়ার আমরা
ব্যবহার করতে পারি এবং এ্যপারেন্ট পাওয়ারের অনুপাত। ইহাকে cosθ দ্বারা
প্রকাশ করা হয়, যার মান 0 হতে 1 পর্যন্ত।
৮১। লোড ফ্যাক্টর
গড় লোড এবং সর্বোচ্চ চাহিদার অনুপাতকে লোড ফ্যাক্টর বলে। Load Factor = Average load/Max. Demand or Peak load.
এর মান ১ এর নিচে হয়।
৮২। প্লান্ট ফ্যাক্টর
কোন পাওয়ার প্লান্টের গড় লোড এবং নির্ধারিত রেটেড ক্যাপাসিটিরঅনুপাতকে প্লান্ট ফ্যাক্টর বলে।
Plant Factor = Average load/ Rated capacity of the plant
৮৩। ডিমান্ড ফ্যাক্টর
প্লান্টের সর্বোচ্চ চাহিদা এবং সংযুক্ত লোডের অনুপাতকে ডিমান্ড ফ্যাক্টর বলে। Demand Factor = Max. Demand/Connected Load
৮৪। ফরম ফ্যাক্টর ফরম ফ্যাক্টর (Form Factor): কোন সাইন ওয়েভের কার্যকরী মান (RMS value) এবং গড় মান (Average Value) এর অনপাতকে ফরম ফ্যাক্টর (Form Factor) বলে। একে Kf দ্বারা প্রকাশ করা হয় যার মান 1.11
৮৫। পিক ফ্যাক্টর পিক ফ্যাক্টর (Peak Factor): কোন সাইন ওয়েভের সরবচ্চ মান (Max. value) এবং কার্যকরী মান (RMS value) এর অনপাতকে পিক ফ্যাক্টর (Form Factor) বলে। একে Ka দ্বারা প্রকাশ করা হয় যার মান 1.41
৮৬। স্কিন ইফেক্ট AC বিদ্যুৎ প্রবাহ কোন পরিবাহির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় সে পরিবাহির ভিতরে প্রবেশ না করে উহার সারফেস দিয়ে প্রবাহিত হতে চেস্টা করে, এটাকে স্কিন ইফেক্ট বলে। এই স্কিন ইফেক্ট এর ফলে লাইনের রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় যার ফলে লাইন লসও বেড়ে যায়।
৮৭।যখন দুইটি কন্ডাক্টর এর স্পেসিং ব্যাসের তুলনায় বেশি অবস্থায় রেখে তাদের আড়াআড়িতে AC ভোল্টেজ প্রয়োগ করে ধিরে ধিরে বাড়ানো হয় তখন একটি পর্যায় আসে। এই বিশেষ পর্যায় কন্ডাক্টরের চারপাশে বাতাস ইলেক্ট্রস্ট্যাটিক স্ট্রেস হয়ে আয়নিত হয় এবং বাতাসের ইন্সুলেশন স্ট্রেংথ ভেঙ্গে যায়। এই অবস্থায় কন্ডাক্টরের চারপাশে জিম জিম শব্দসহ হালকা অনুজ্জ্বল বেগুনী রস্মি দেখা যায় এবং ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয়, এই অবস্থাটিকে করোনা নামে পরিচিত।
৮৮। প্রক্সিমিটি ইফেক্ট সমান্তরাল দুইটি পরিবাহীর কারেন্ট যদি পরস্পর বিপরীতমুখী হয়, তাহলে উভয় পরিবাহীর নিকটবর্তী অংশে কারেন্ট ডেনসিটি বেড়ে যায়। আবার একমুখী কারেন্ট হলে দূরবর্তী অংশে কারেন্ট ডেনসিটি বেড়ে যায়। এ ঘটনাকে প্রক্সিমিটি ইফেক্ট বলে। ইহার প্রভাবে অসম কারেন্ট প্রবাহিত হয়, লাইনের রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় এবং সেলফ রিয়াক্ট্যান্স এর মান কমে যায়।
৮৯। ফ্যারান্টি ইফেক্ট মিডিয়াম বা লং ট্রান্সমিশন লাইনে ওপেন সার্কিট বা লোড শুন্য অবস্থায় কিংবা অল্প লোডে চলার সময় প্রেরন প্রান্ত অপেক্ষা গ্রহন প্রান্তের ভোল্টেজের মান বেশি হতে দেখা দেয়। এই ঘটনা বা phenomenon কে ফেরান্টি ইফেক্ট বলে।
৯০। অটো ট্রান্সফরমার অটো ট্রান্সফরমার এমন এক ব্যাতিক্রমি ট্রান্সফরমার যার মধ্যে কেবল একটি ওয়াইন্ডিং থাকে। ইহার কিছু অংশ প্রাইমারি আর কিছু অংশ সেকেন্ডারি, উভয় কয়েল ইলেকট্রিক্যাল ও ম্যাগনেটিক্যালি সংযুক্ত থাকে। তারপরও একে ট্রান্সফরমার বলা হয়, কারণ ইহার কার্যপ্রণালী দুই ওয়াইন্ডিং ট্রান্সফরমার এর মতই।
৯১। স্পেসিফিক রেজিস্ট্যান্স বা রেজিস্টিভিটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্য ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোন একটি পরিবাহী পদার্থের অথবা একক বাহু বিশিষ্ট কোন একটি ঘনক আকৃতির পরিবাহী পদার্থের দুটি বিপরীত তলের মধ্যবর্তী রোধ বা রেজিস্ট্যান্সকে উক্ত পরিবাহীর রেজিস্টিভিটি বা আপেক্ষিক রোধ বলে।
৯২। R.M.S মান একটি সার্কিটে একটি নির্দিস্ট সময়ে কোন নির্দিস্ট পরিমান ডিসি (D/C) প্রবাহিত হলে যে পরিমান তাপ উৎপন্ন, সেই পরিমান তাপ উৎপন্ন করতে ঐ সার্কিটে উক্ত নির্দিস্ট সময়ে যে পরিমান এসি প্রবাহিত করা প্রয়োজন তাকে ঐ এসি (A/C) কারেন্টের RMS মান বলে। RMS value = 0.707 x Max. Value
৯৩। রেজোন্যান্ট ফ্রিকুয়েন্সি একটি AC সার্কিটে ইনডাকট্যান্স ও ক্যাপাসিট্যান্স এর মান যাই হোকনা কেন যে ফ্রিকুয়েন্সিতে ঐ সার্কিটের ইন্ডাকটিভ রিয়েকট্যান্স (XL) এবং ক্যাপাসিটিভ রিয়েকট্যান্স (XC) সমান হয়, সেই ফ্রিকুয়েন্সিকে রেজোন্যান্ট ফ্রিকুয়েন্সি বলে । একে fr দ্বারা প্রকাশ করা হয়
৯৪। রীলে রীলে এমন একটি সয়ংক্রীয় ডিভাইস, যা বৈদ্যুতিক সার্কিট এ কোন ফল্ট সংঘটিত হলে, সার্কিট এর প্রটেকটিভ ডিভাইস গুলো কে সয়ংক্রীয় ভাবে অপারেট করে এবং ফল্টযুক্ত অংশ কে ফল্টবিহীন অংশ হতে আলাদা করে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
৯৬। রিভার্স পাওয়ার রীলে প্যারালেল অপারেশনে কোন অল্টারনেটরের ইনপুট কোন কারনে বন্ধ হলে বা অন্য কোন ত্রুটিতে ঐ অলটারনেটর যদি বাসবার হতে পাওয়ার নেয় অর্থাৎ উল্টাদিক হতে পাওয়ার নিয়ে অল্টারনেটরটি মোটর হিসাবে কাজ করে তখন যে রিলের মাধ্যমে প্রটেকশন দেয়া হয় তার নাম রিভার্স পাওয়ার রীলে। এ রকম অবস্থায় রিভার্স পাওয়ার রীলে এনারজাইজড হয় এবং ঐ অল্টারনেটরের সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করে সিস্টেমকে রক্ষা করে।
৯৭। থার্মাল রীলে যে রীলে কারেন্ট বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাড়া দেয়, তাকে থার্মাল রীলে বলে। এটা সাধারণত মোটর কন্ট্রোল সার্কিট, ব্যালান্স এবং আন-ব্যালান্স থ্রি-ফেজ সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।
৯৮। ডিফারেনশিয়াল রীলে ডিফারেনশিয়াল রীলে এমন এক ধরনের ডিভাইস, যা দুই বা ততোধিক ইলেকট্রিক্যাল মান বা দিকের ভেক্টর পার্থক্য, যখন একটি আগে থেকেই নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি বা কম হয় তখন এই রীলে কাজ করে সিস্টেমকে বা ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রকে রক্ষা করে।
৯৯। HRC ফিউজ HRC= High Rupturing Capacity । উচ্চ কারেন্ট প্রবাহিত হয় এরকম লাইনে যে ফিউজ ব্যবহার হয় সেগুলো HRC ফিউজ। এতে চিনা মাটির তৈরি কেসিং এর মধ্যে ফিউজ তার সংযুক্ত থাকে। ফিউজ তারের চারদিকে বালু বা চক পাউডার এবং কেসিং এর দু-মাথায় দুটি পিতলের ঢাকনা থাকে। ফিউজ তার উভয় ঢাকনার সাথে সংযুক্ত থাকে।
১০০। বুখলজ রীলে ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন ত্রুটির প্রটেকশন ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জন্য ট্রান্সফরমার ট্যাংক ও কনজারভেটর এর মাঝে পাইপে যে রীলে বসানো থাকে সেটাই বুখলজ রীলে। ত্রুটিজনিত অতিরিক্ত কারেন্ট হতে সৃষ্ট উত্তাপে ট্রান্সফরমার ট্যাংকে যে গ্যাসের সৃষ্টি হয়, তার চাপেই এই রীলে কাজ করে থাকে। অর্থাৎ শুধুমাত্র অয়েল কুলিং ট্রান্সফরমারে এই রীলে ব্যবহৃত হয়।
১০১। আর্থিং সুইস কি? ট্রান্সমিশন লাইন রক্ষণাবেক্ষণের সময় লাইনে বিদ্যমান চার্জিং কারেন্টকে মাটিতে পাঠানোর জন্য যে সুইস ব্যবহৃত হয় সেটি আর্থিং সুইস (ES) নামে পরিচিত। আগে আইসোলেটর দিয়ে সার্কিট ডিসকানেক্ট করে আর্থ সুইস দ্বারা লাইনকে আর্থের সাথে সংযোগ করা হয়।
১০২। ওয়েভ ট্রাপ কি? সাব-স্টেশনে ব্যবহৃত ক্যারিয়ার সরঞ্জামাদির মধ্যে ওয়েভ ট্রাপ অন্যতম একটি ডিভাইস, যার মাধ্যমে ট্রান্সমিশন লাইনের ওয়েভকে ফিল্টার করা হয়। পাওয়ার লাইনের মাধ্যমেই কমুনিকেশন ফ্রিকুয়েন্সিও পাঠানো হয়, পরবর্তীতে এই ওয়েভ ট্রাপ দিয়ে কমুনিকেশন ফ্রিকুয়েন্সিকে আলাদা করে শব্দ শক্তিতে রুপান্তর করে টেলিফোন বা যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়।
১০৩। সার্জ ভোল্টেজ কি? পাওয়ার সিস্টেমে হঠাৎ করে খুব অল্প সময়ের জন্য অস্বাভাবিক ভোল্টেজ বৃদ্ধিকে সার্জ ভোল্টেজ বলে। একে ট্রানজিয়েন্ট ভোল্টেজও বলে।
১০৪। কারেন্ট লিমিটিং রিয়াক্টর কারেন্ট লিমিটিং রিয়াক্টর বা বিদ্যুৎ সীমিত করন রিয়াক্টর যথেষ্ট ইন্ডাক্টিভ রিয়াক্ট্যান্স বিশিষ্ট এক ধরনের ইন্ডাকটিভ কয়েল। শর্ট সার্কিট অবস্থায় কারেন্টের পরিমাণকে সীমিত রেখে ফল্ট কারেন্টের বিপদমাত্রা নিরাপদ সীমায় নিয়ে আসার জন্য এই রিয়াক্টর লাইনের সাথে সিরিজে সংযোগ করা হয়।
১০৫। লোড শেডিং যখন চাহিদার তুলনায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ এর পরিমান কম হয়, তখন কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়, যাতে ওভার লোডে পুরো সিস্টেম বন্ধ হয়ে না যায়। এ ব্যবস্থাকে লোড শেডিং বলে।
১০৬। লোড শেয়ারিং একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উপর অর্পিত সকল লোড বিভিন্ন প্লান্টের সকল জেনারেটরের মধ্যে যুক্তিযুক্ত ভাবে বন্টন করাকে লোড শেয়ারিং বলে।
১০৭। ‘ j ‘ operator কাকে বলে? একটি operator যার মান √-1 কোন ভেক্টরের সহিত মাল্টিপ্লাইং ফ্যাক্টর হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে উক্ত ভেক্টর এর ৯০ বামাবর্তে ঘূর্ণন নির্দেশ টাকা ‘ j ‘ operator বলে।
১০৮। ওহমের সূত্র ওহমের সুত্রঃ স্থির তাপমাত্রায় কোন বর্তনীর মধ্য দিয়ে যে কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তাহা ঐ বর্তনীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সহিত সরাসরি সমানুপাতিক এবং রেজিস্টেন্সের সহিত উল্টানুপাতিক। অর্থাৎ I αV or I α1/V or I =V/R.
১০৯। কারশফের সূত্র কারশফের কারেন্ট সুত্র (KCL):
কোন বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের এক বিন্দুতে মিলিত কারেন্ট সমুহের বীজগাণিতিক যোগফল শুন্য অথবা কোন বিন্দুতে আগত কারেন্ট = নির্গত কারেন্ট।
কারশফের ভোল্টেজ সুত্র (KVL):
কোন বদ্ধ বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের সকল ই.এম.এফ এবং সকল ভোল্টেজ ড্রপের বীজগাণিতিক যোগফল শুন্য।
১১০। ফ্যারাডের সূত্র প্রথম সুত্রঃ একটি তার বা কয়েলে ই. এম. এফ আবিষ্ট হয় তখন, যখন উক্ত তার বা কয়েলের সাথে সংশ্লিষ্ট চৌম্বক ফ্লাক্স বা চৌম্বক বল রেখার পরিবর্তন ঘটে।
দ্বিতীয় সুত্রঃ আবেশিত বিদ্যুচ্চালক বল এর পরিমান চৌম্বক বল রেখার পরিবর্তনের হারের সাথে সরাসরি সমানুপাতিক।
উপরোক্ত সূত্র দুটি একত্রে এভাবে লেখা যায়ঃ একটি পরিবাহী এবং একটি চৌম্বক ক্ষেত্রে আপেক্ষিক গতি যখন এরুপভাবে বিদ্যমান থাকে যে, পরিবাহীটি চৌম্বক ক্ষেত্রটিকে কর্তন করে, তখন পরিবাহিতে আবেশিত একটি বিদ্যুচ্চালক বল সংঘটিত কর্তনের হারের সাথে সমানুপাতিক।
১১১। লেনজের সূত্র লিখ। আবেশিত বিদ্যুচ্চালক বলের কারনে পরিবাহী তারে প্রবাহিত আবেশিত কারেন্ট পরিবাহী তারের চারপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি করে, যা দারা আবেশিত কারেন্টের উৎপত্তি, উহাকেই (অর্থাৎ পরিবর্তনশীল ফ্লাক্স) এ (সৃষ্ট চৌম্বক ক্ষেত্র) বাধা প্রদান করে । যেখানে পরিবাহী স্থির এবং চৌম্বক ক্ষেত্র গতিতে থাকে সেখানে লেনজের সূত্র ব্যবহার হয়।
১১২। ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল কি? দক্ষিণ হস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী ও মধ্যমাকে পরস্পর সমকোণে রেখে বিস্তৃত করলে যদি তর্জনী চৌম্বক বলরেখার অভিমুখ এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহী তারের ঘূর্ণনের অভিমুখ নির্দেশ করে, তবে মধ্যমা পরিবাহিতে প্রবাহিত আবেশিত কারেন্টের অভিমুখ নির্দেশ করেবে। ইহাই ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল। যেখানে চৌম্বক ক্ষেত্র স্থির এবং পরিবাহী গতিতে থাকে, সেখানে ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল ব্যবহার করা হয়।
১১৩। মিউচুয়াল ফ্লাক্স কাকে বলে? পাশাপাশি অবস্থিত দুটি কয়েলের একটিতে কারেন্ট প্রবাহের ফলে সৃষ্ট ফ্লাক্সের যে অংশবিশেষ অন্যটিতে সংশ্লিষ্ট হয়, তাকে মিউচুয়াল ফ্লাক্স বলে।
১১৪। এডি কারেন্ট যখন একটি বৈদ্যুতিক চুম্বকের কয়েলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট পরিবর্তিত হতে থাকে, তখন চৌম্বক ক্ষেত্রও পরিবর্তিত হতে থাকে। এই পরিবর্তনশীল ফ্লাক্স কয়েলের তারকে কর্তন করে, ফলে কয়েলে একটি ভোল্টেজের সৃষ্টি হয়। একই সময়ে এই ফ্লাক্স লৌহ দণ্ডকেও কর্তন করে। ফলে এই লৌহ দণ্ডেও ভোল্টেজের সৃষ্টি হয়। এই ভোল্টেজের কারনে লৌহ দণ্ডে একটি কারেন্ট আবর্তিত হতে থাকে, এই আবর্তিত কারেন্টকেই এডি কারেন্ট বলে।
১১৫। স্যাগ দুইটি পোল বা টাওয়ারের মধ্যে কন্ডাকটর লাগানো হলে কন্ডাকটরটি কিছুটা ঝুলে পড়ে। পোল বা টাওয়ার দুইটির যে বিন্দুতে কন্ডাকটর লাগানো হয়েছে সেই বিন্দু দুইটির সংযোগকারি কাল্পনিক রেখা হতে কন্ডাকটরটির সর্বোচ্চ ঝুলকে স্যাগ (SAG) বা ঝুল বলে।
১১৬। তার ও ক্যাবল তার খোলা বা হালকা ইন্সুলেশন যুক্ত হয় এবং সলিড বা স্ট্রান্ডেড হয়, কিন্তু ক্যাবল সব সময় ইন্সুলেটেড ও স্ট্রান্ডেড হয়।
১১৭। A.C.S.R ক্যাবল একে Steel cored aluminium-ও বলে। উচ্চ ভোল্টেজ পরিবহন করার জন্য অ্যালুমিনিয়াম কন্ডাকটরের কেন্দ্রে প্রলেপ যুক্ত ষ্টীল কোর ব্যবহার করে A.C.S.R তার তৈরি করা হয়। এতে অ্যালুমিনিয়াম তারের টান সহন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
১১৮। লাইটিং এরেস্টার লাইটনিং এরেস্টার বা সারজ ডাইভারটার এক ধরনের ইলেকট্রিক্যাল প্রটেকটিভ ডিভাইস, যা পাওয়ার সিস্টেমে হাই ভোল্টেজকে বা সারজ ভোল্টেজকে সরাসরি মাটিতে প্রেরন করে।
১১৯। AC বা অল্টারনেটিং কারেন্ট কি? যে কারেন্টের দিক সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় তাকে অল্টারনেটিং কারেন্ট (AC) বলে।
১২০। সিস্টেম লস কি? উৎপাদন কেন্দ্রের নিজস্ব ব্যবহার সহ যন্ত্রপাতির অপচয়, পরিবহন তারের রেজিসটেন্স জনিত অপচয় এবং অন্যান্য কারিগরি-অকারিগরি
১২১। ফিডার কি? জনবহুল এলাকা, কারখানা বা আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষে উচ্চ ভোল্টেজ উপকেন্দ্র বা গ্রিড উপকেন্দ্র হতে বিভিন্ন লোড সেন্টারে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রদানের জন্য যে untapped লাইন নির্মাণ করা হয় তাকে ফিডার বলে।
১২২। স্ট্রিং ইফিসিয়েন্সি কি? সাসপেনশন ডিস্ক ইন্সুলেটর এর N-সংখ্যক ইউনিটের স্পার্ক ওভার ভোল্টেজ একটি ইউনিটের N-গুন স্পার্ক ওভার ভোল্টেজের অনুপাতকে স্ট্রিং ইফিসিয়েন্সি বলে। স্ট্রিং ইফিসিয়েন্সি = N-সংখ্যক ইউনিটের SOV/ N x একটি ইউনিটের SOV (Max. Volts) SOV= Spark Over Voltage
১২৩। ট্রান্সফরমারের ব্রীদার কি? উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের ট্যাংকে জলীয়বাস্পমুক্ত অর্থাৎ শুষ্ক বাতাস প্রবেশের জন্য ট্রান্সফরমারে যে প্রকোষ্ঠ ব্যবহার করা হয় তাকে ব্রীদার বলে।
১২৪। মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকার কাকে বলে? মিনিয়েচার শব্দের আভিধানিক অর্থ হল ক্ষুদ্রাকার। যে সার্কিট ব্রেকার অল্প কারেন্টে কাজ করে এবং আকারের দিক দিয়েও ছোট এই ধরনের সার্কিট ব্রেকারগুলোকে মিনিয়েচার সার্কিট ব্রেকার বলে।
১২৫। বাসবার কি? বাসবার এক ধরনের তামা বা এলুমিনিয়ামের তৈরি পরিবাহী পাত, বার বা রড, যা এক বা একাধিক সার্কিটে ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি সংগ্রহ ও বিতরন করে।
১২৬। এয়ার সার্কিট ব্রেকার কাকে বলে? যে সার্কিট ব্রেকারে আর্ক নির্বাপণ এবং অপারেটিং স্বাভাবিক বায়ুমণ্ডলের বাতাসের চাপে করা হয় তাকে এয়ার সার্কিট ব্রেকার বলে।
১২৭। মোটর কাকে বলে ? ইহা এক প্রকার ইলেকট্রিকাল মেশিন যা সরবরাহ থেকে ইলেকট্রিকাল শক্তি গ্রহন করে যান্ত্রিক শক্তিতে রুপান্তর করে তাকে মোটর বলে । ইহা AC ও DC এর হয়ে থাকে ।
১২৮। জেনারেটর জেনারেটর এমন একটি যন্ত্র বা মেশিন যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রুপান্তরিত করা হয় ।
১২৯। কম্যুটেটর প্রত্যেক ডিসি জেনারেটরের আর্মেচারে উৎপন্ন কারেন্ট সব সময় এসি হয়ে থাকে, ডিসি জেনারেটরের এই এসি ভোল্টেজকে বহিঃসার্কিটে ডিসি পাওয়ার জন্য যে ডিভাইস বা মেকানিজম ব্যবহৃত হয় তাকে কমুটেটর বলে।
১৩০। এক্সাইটার ফিল্ড তৈরি করতে এক্সাইটেশন ভোল্টেজ দরকার, যার মাধ্যমে অল্টারনেটরের ফিল্ডে এক্সাইটেশন ভোল্টেজ দেয়া হয় তাকে এক্সাইটার বলে। এটা একটি এক্সটারনাল ডিসি সাপ্লাই ব্যবস্থা (ব্যাটারি, ডিসি শান্ট জেনারেটর বা রেক্টিফায়ার) যার মাধ্যমে ফিল্ডে ডিসি সাপ্লাই দিয়ে অল্টারনেটরে চুম্বক ফিল্ড তৈরি করা হয়।
১৩১। What is The difference between earth and neutral? Neutral is the return path of the conductor through which current flows back to the system. However earth is used for protection against high fault current. When the current is very high it flows through earth and bypass the equipment or device thus protecting it.
১৩২। মিউচুয়াল ফ্লাক্স কাকে বলে? পাশাপাশি অবস্থিত দুটি কয়েলের একটিতে কারেন্ট প্রবাহের ফলে সৃষ্ট ফ্লাক্সের যে অংশবিশেষ অন্যটিতে সংশ্লিষ্ট হয়, তাকে মিউচুয়াল ফ্লাক্স বলে।
১৩৩। সিনক্রোনাইজিং সার্কিটের লোড বৃদ্ধি পেলে এবং একটি অল্টারনেটর দ্বারা যদি সে বর্ধিত লোডের চাহিদা পুরন করা সম্ভব না হয় তাহলে দুই বা ততোধিক অল্টারনেটরকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে একটি আরেকটির সাথে প্যরালেলে অপারেশন করা হয়, এই পদ্ধতিকে সিনক্রোনাজিং বলে।
১৩৪। মোটর স্লিপ মোটরের এর সিনক্রোনাস স্পীড N ও রোটর স্পীড N এর পার্থক্যকে সিনক্রোনাস স্পীড দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায় তাকে ইন্ডাকশন মোটরের স্লিপ(S) বলে। ইহাকে শতকরায় প্রকাশ করা হয়। ইহার মান সাধারণত 4% থেকে 8% থাকে।
১৩৫। ব্যাক ই এম এফ যখন কোন ডিসি মোটরের আর্মেচার ফিল্ড চুম্বক ক্ষেত্রের ভিতর ঘুরতে থাকে তখন ঐ আর্মেচারে কন্ডাকটর চুম্বক বল রেখাকে কর্তন করে ফলে আর্মেচার কন্ডাক্টর বাহিরের কারেন্ট ছাড়াও ঘূর্ণনের জন্য ভোল্টেজ উৎপন্ন করে যার অভিমুখ সরবরাহ ভোল্টেজের বিপরীত, এই ভোল্টেজকে ব্যাক ই এম এফ বলে। Back e.m.f, E = φzNP/60A Volts or E = V-I R Volts
১৩৬। আরমেচার রিয়াকশন কোন কন্ডাক্টরের ভিতর দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হলে সে কন্ডাক্টরের চতুর্দিকে একটি চুম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। ডিসি মেশিনের পোলের চুম্বক ক্ষেত্রের উপর আর্মেচার কন্ডাক্টরের প্রবাহ জনিত চুম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবকে আর্মেচার রিয়াকশন বলে। এর ফলে কার্বন ব্রাশে স্পার্ক দেখা দেয় এবং টার্মিনাল ভোল্টেজ কমে যায়। Air Gap বাড়িয়ে, Compensating Winding এবং Interpole ব্যবহার করে আর্মেচার রিয়াকশন কমানো যায়।
১৩৭। সিনক্রোনাস মোটর যে মোটর নো-লোড হতে ফুল লোড পর্যন্ত একটি নির্দিস্ট গতিবেগে ঘুরে তাকে সিনক্রোনাস মোটর বলে। এই মোটরের স্পীড সবসময়
N = 120f/P হয়ে থাকে।
১৩৮। ট্রান্সমিশন লাইনের ট্রান্সপজিশনিং কি? অসমান দূরত্বের আনব্যালান্স তিন ফেজ ওভারহেড লাইনের ব্যালান্স প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে নির্দিষ্ট ব্যবধানে প্রতিটি তারের মধ্যে পারস্পারিক স্থান বিনিময়ের ব্যবস্থা কে ট্রান্সপজিশনিং বলা হয়।
১৩৯। সেমিকন্ডাক্টর ইহা এমন একটি পদার্থ যাহার কন্ডাকটিভ অর্থাৎ যে পদার্থের আউটার অরবিটে ব্থাকে তাকে সেমিকন্ডাক্টর বলে । যেমন – জার্মেনিয়াম, সিলিকন ইত্যাদি ।
১৪০। জেনার ডায়োড যে সকল ক্রিস্টাল ডায়োড এমনভাবে ডোপিং করা হয় যার একটি শার্প ব্রেকডাউন ভোল্টেজ থাকে। জেনার ডায়োড সর্বদাই রিভার্স বায়াসে কাজ করে। ইহা ভোল্টেজ রেগুলেটর হিসাবে কাজ করে।
১৪১। অ্যামপ্লিফায়ার অ্যামপ্লিফায়ার বা বিবর্ধক এমন একটি ডিভাইস যার মাধ্যমে কোন দুর্বল বা ছোট সিগন্যালকে শক্তিশালী বা বড় সিগন্যালে রূপান্তরিত করা যায়।
১৪২। ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর যে শাখায় ভ্যাকুয় সম্পর্কে আলোচনা ও গবেষণা করা হয় তাকে ইলেকট্রনিক্স বলে
১৪৩। অসিলেটর ইহা এমন একটি ডিভাইস যার মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন রেঞ্জের বা মানের ফ্রিকুয়েন্সি জেনারেট করা যায়। ইহা মুলতঃ কোন ডিসি সোর্স থেকে প্রাপ্ত শক্তিকে পরিবর্তনশীল আউটপুটে রূপান্তরিত করে থাকে।
১৪৪। রিপল ফ্যাক্টর রেক্টিফায়ার এর আউটপুটে পালসেটিং DC এর AC কম্পোনেন্ট এর RMS মান এবং DC কম্পোনেন্ট এর মানের অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা, এই ধ্রুব সংখাকে রিপল ফ্যাক্টর বলে। রিপল ফ্যাক্টর এর মান যত কম হয় DC তত ভালো কোয়ালিটির হয়।
১৪৫। এনালগ ও ডিজিটাল সিগন্যাল যে সিগন্যাল সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় এবন যেকোন মানে থাকতে পারে তাকে এনালগ সিগন্যাল বলে। আর যে সিগন্যালে শুধু মাত্র দুইটি লেভেল (0,1 অথবা high, low) থাকে, তাকে ডিজিটাল সিগন্যাল বলে।
১৪৬। বিট ও বাইট বিটঃ বাইনারি ডিজিট ( 0, 1) এর প্রত্যেকটিকে বিট বলে। বাইটঃ ৮টি বিট এর গ্রুপকে একত্রে বাইট বলে।
১৪৭। মাল্টিপ্লেক্সার ও ডিমাল্টিপ্লেক্সার মাল্টিপ্লেক্সার: যে সার্কিটের একাধিক ইনপুট ও একটি মাত্র আউটপুট থাকে এবং যথাযথ নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে যে কোন একটি ইনপুট সিগনালকে অউটপুটে পাঠায় তাকে মাল্টিপ্লেক্সার বলে।
ডিমাল্টিপ্লেক্সার: যে সার্কিটের একটি ইনপুট ও একাধিক আউটপুট থাকে এবং যথাযথ নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে ইনপুট সিগনালকে যেকোন অউটপুটে পাঠায় তাকে মাল্টিপ্লেক্সার বলে।
১৪৮। কারনু ম্যাপ (Karnough Map) যে ম্যাপের সাহায্যে লজিক রাশিমালা সরলীকরণ করা হয় তাকে কারনু ম্যাপ বলে। মরিস কারনুফ এই ম্যাপ আবিস্কার করেন, তার নামানুসারে এর নাম কারনু ম্যাপ রাখা হয়।
১৪৯। বুলিয়ান বীজগনিত লজিক গেইট ও লজিক সার্কিটের জন্য যে সকল বীজগনিত ও ইকুইশন ব্যবহার করা হয় তাকে বুলিয়ান বীজগনিত বলে।
১৫০। সিলিকন কন্ট্রোল রেক্টিফায়ার (SCR) SCR এর অর্থ হল Silicon Controlled Rectifier । ইহা তিন টার্মিনাল ( Anode, Cathode, Gate), চার স্তর, তিন জাংশন বিশিষ্ট PNPN সেমিকন্ডাক্টর সুইচিং ডিভাইস।
১৫১। ‘ Heat Sink’ কি? ইহা এক প্রকার ধাতুর সীট যা থাইরিস্টর বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস (আই সি, ট্রানজিস্টর) থেকে অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
১৫২। ইউনিভার্সাল লজিক গেইট যে সকল লজিক গেইট দ্বারা অন্যান্য সকল গেইট তৈরি করা যায় তাদেরকে ইউনিভার্সাল লজিক গেইট বলে। NAND ও NOR ইউনিভার্সাল লজিক গেইট।
১৫৩। ট্রান্সডিউসার ও সেন্সর যে সকল ডিভাইস এক প্রকার শক্তিকে আরেক প্রকার শক্তিতে রুপান্তর করে তাকে ট্রান্সডিউসার বলে। আর ট্রাসডিউসারকে যখন বিশেষ উদ্দেশ্যে তৈরি কোন যন্ত্রের সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয় তখন তাকে ঐ যন্ত্রের সেন্সর বলা হয়।
১৫৪। SCADA কি? Supervisory Control and Data Acquisition (SCADA) : The combination of transducers, communication links and data processing systems which provides information to the National Load Dispatch Centre(NLDC) on the operation of the Transmission System and the Generating Units.
১৫৫। Smart Grid A smart grid puts advanced information and communication technology into electricity generation, delivery and consumption with dynamic pricing, making systems cleaner, safer, and more reliable and efficient into the current electricity grid.
১৫৬। মাল্টিভাইব্রেটর যে ডিভাইসের মাধ্যমে Square বা Non- Sinusoidal ওয়েভ জেনারেট করা হয় তাকে মাল্টিভাইব্রেটর বলে। মাল্টিভাইব্রেটর একধরনের অ্যামপ্লিফায়ার যার দুটি স্টেজ। এই দুটি স্টেজকে এমনভাবে কাপ্লিং করা হয় যে, একটির আউটপুট অন্যটির ইনপুট হিসাবে কাজ করে।
১৫৭। রেক্টিফায়ার যে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে এসি (A/C) কে ডিসি (D/C) তে রুপান্তরিত করা হয় তাকে রেক্টিফায়ার বলে।
১৫৮। পিক ইনভারস ভোল্টেজ (PIV) ইহা রেকটিফায়ার সার্কিটের সরবচ্চ রিভার্স ভোল্টেজ যাতে একটি ডায়োড নষ্ট না হয়ে কাজ করতে পারে। PIV এর চেয়ে বেশি ভোল্টেজ হলে ডায়োড নষ্ট হয়ে যায়।
১৫৯। ক্লিপিং ও ক্লাম্পিং সার্কিট ক্লিপিং: যে সার্কিটের সাহায্যে সাইনওয়েভকে বিভিন্ন আকৃতিতে পরিবর্তন করা যায় তাকে ক্লিপিং সার্কিট বলে।
ক্লাম্পিং: যে সার্কিটের সাহায্যে কোন সিগন্যাল ভোল্টেজ এর পজিটিভ বা নেগেটিভ পিক মানকে কাঙ্ক্ষিত ডিসি মানে আনা যায়, তাকে ক্লাম্পিং সার্কিট বলে।
১৬০। মডুলেশন ও ডিমডুলেশন ক্যারিয়ার ওয়েভের সাথে সিগন্যালকে মিশ্রিত করাকে মডুলেশন বলে। আবার মুল সিগন্যালকে ক্যারিয়ার ওয়েভ থেকে আলাদা করাকে ডিমডুলেশন বলে।
১৬১। সিগন্যালে নয়েজ কি? ডাটা কমুনিকেশনে বা কোন কন্ট্রোল সিস্টেমে মূল সিগন্যালের সাথে কোন মাধ্যম দ্বারা প্রভাবিত অনাকাঙ্ক্ষিত সিগন্যালকে নয়েজ বলে।
১৬২। ফ্লিপ ফ্লপ সার্কিট যে ডিজিটাল সার্কিটে দুইটি স্টেবল স্টেট থাকে এবং একটি ট্রিগারিং পালস প্রয়োগ করলে উহার স্টেট বা অবস্থার পরিবর্তন হয়, তবে ঐ মেমরি উপাদানকে ফ্লিপ ফ্লপ বলে।
১৬৩। এনকোডার ও ডিকোডার এনকোডারঃ যে সার্কিটের সাহায্যে দশমিক বা এনালগ ডাটাকে বাইনারি ডাটায় বা মেশিনের বোধগম্য ভাষায় রুপান্তর করা যায় তাকে এনকোডার বলে।
ডিকোডারঃ যে সার্কিটের সাহায্যে বাইনারি ডাটায় বা মেশিনের বোধগম্য ভাষাকে দশমিক বা এনালগ ভাষায় রুপান্তর করা যায় তাকে ডিকোডার বলে।
১৬৪। LDR কি? LDR (Light Dependent Resistor) এটি এমন এক ধরনের রেজিস্টর যার মান আলোর সাথে পরিবর্তিত হয়।
১৬৫। বাইপোলার ট্রানজিস্টর ও ইউনিপোলার ট্রানজিস্টর যে ট্রানজিস্টর এ হোল ও ইলেকট্রন দুইটি ক্যারিয়ার প্রবাহের ফলে কারেন্ট প্রবাহের সৃষ্টি হয় তাকে বাইপোলার ট্রানজিস্টর বলে। যেমন NPN ও PNP ট্রানজিস্টর। যে ট্রানজিস্টর এ হোল ও ইলেকট্রন এর যেকোন একটি ক্যারিয়ার প্রবাহের ফলে কারেন্ট প্রবাহের সৃষ্টি হয় তাকে ইউনিপোলার ট্রানজিস্টর বলে। যেমনঃ FET
১৬৬। ফিডব্যাক কি? যে সকল সার্কিটের আউটপুট সিগন্যালকে পুনরায় ব্যবহারের জন্য ঐ সার্কিটের ইনপুট হিসাবে ব্যবহার করা হয় এবং তা থেকে আউটপুট পাওয়া যায় তাকে ফিডব্যাক বলে।
১৬৭। এমপ্লিচিউড মডুলেশন (AM) ও ফ্রিকুয়েন্সি মডুলেশন (FM) AM (Amplitude Modulation): ক্যারিয়ার ওয়েভের Amplitude সিগন্যাল ওয়েভের তাৎক্ষনিক মান অনুসারে পরিবর্তন করার প্রক্রিয়াকে এমপ্লিচিউড মডুলেশন বলে।
FM (Frequency Modulation): ক্যারিয়ার ওয়েভের Frequency সিগন্যাল ওয়েভের তাৎক্ষনিক মানের সাথে সমানুপাতিক ভাবে পরিবর্তন করার প্রক্রিয়াকে ফ্রিকুয়েন্সি মডুলেশন বলে।
১৬৮। পূর্ণরুপ কিছু- GSM = Global System for Mobile Communication CDMA = Code Division Multiple Access. FDMA = Frequency Division Multiple Access. VSAT = Very Small Aperture Terminal. PWM = Pulse Width Modulation CMOS = Complementary Metal Oxide Semiconductor MOSFET = Metal Oxide Semiconductor Field Effect Transistor LASER = Light Amplification by Stimulated Emission of Radiation LDR =Light Dependent Resistor. AWG = American Wire Gauge. SWG = Standard Wire Gauge. NLDC = National Load Dispatch Centre. SCADA = Supervisory Control and Data Acquisition. IEEE = Institute of Electrical and Electronics Engineers
১৬৯। সোল্ডারিং বলতে কি বোঝ? এতে ব্যবহৃত উপাদান সমূহ কি কি ও এদের অনুপাত কত?
উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক ধাতব
পদার্থ সংযুক্ত বা একত্রিত করা হয় তাকে সোল্ডারিং বলে। এতে ব্যবহৃত
উপাদান সমূহ হচ্ছে সীসা ও টিন, এদের অনুপাত ৪০ঃ৬০।
১৭০। সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয় কেন বা এর সুবিধা কি?
উত্তরঃ সংযোগস্থল ভালভাবে পরিষ্কার এবং মজবুত করার জন্য সোল্ডারিং এর সময় রজন ব্যবহার করা হয়।
১৭১। রেজিস্টর কি? বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টরের নাম লিখ।
উত্তরঃ ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক্স
সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহকে সীমিত রাখার জন্য এবং কারেন্ট প্রবাহের পথে
বাথা দেয়ার জন্য যে উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে রেজিস্টর বা রোধক বলে। বিভিন্ন ধরনের রেজিস্টর: কার্বন রেজিস্টর, ওয়্যারউন্ড রেজিস্টর, সিরামিক রেজিস্টর, ফিল্ম টাইপ রেজিস্টর ইত্যাদি।
১৭২। কালার কোড পদ্ধতি কি? বিভিন্ন রং এর মান লিখ।
উত্তরঃ রেজিস্টরের গায়ের রং দেখে রেজিস্টরের মান নির্নয় করার পদ্ধতিকে কালার কোড পদ্ধতি বলে।
১৭৩। রেজিস্টেন্স, ক্যাপাসিটেন্স ও কন্ডাকটেন্স বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ রেজিস্টেন্স: রেজিস্টর যে ধর্মের কারনে বাধা প্রদান করে সেই ধর্মকে রেজিস্টেন্স বলে।
ক্যাপাসিটেন্স: ক্যাপাসিটরের যে বৈশিষ্টের কারনে চার্জ সঞ্চয় বা ধারন করে তাকে ক্যাপাসিটেন্স বলে।
কন্ডাকটেন্স: কন্ডাকটর যে বৈশিষ্টের কারনে এর মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ করে তাকে কন্ডাকটেন্স বলে।
১৭৪। টলারেন্স ব্যান্ড বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ কোন রেজিস্টরের শেষ কালার বা ব্যান্ডকে টলারেন্স ব্যান্ড বলে। যা রেজিস্টরের মানের ভারসম্য রক্ষা করে।
১৭৫। ইলেকট্রনিক্স কাজে কোন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ ইলেকট্রনিক্স কাজে কার্বন রেজিস্টর বেশি ব্যবহৃত হয়।
১৭৬। কন্ডাক্টর, সেমিকন্ডাক্টর ও ইনসুলেটর বলতে কি বোঝ? উত্তরঃ কন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর কম তাকে কন্ডাকটর বলে। সেমিকন্ডাক্টর: যে পদার্থের ভ্যলেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ টি তাকে সেমিকন্ডাক্টর বলে। ইনসুলেটর: যে পদার্থের ভ্যালেন্স ইলেকট্রন সংখ্যা ৪ এর বেশি তাকে ইনসুলেটর বলে।
১৭৭। ত্রিযোজি ও পঞ্চযোজি মৌল কি? কয়েটির নাম লিখ।
উত্তরঃ ত্রিযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৩টি তাকে ত্রিযোজি মৌল বলে। যেমন: গ্যালিয়াম, ইন্ডিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, বোরন ইত্যাদি।
পঞ্চযোজি মৌল: যে মৌলের যোজনী সংখ্যা ৫টি তাকে পঞ্চযোজি মৌল বলে। যেমন: আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি।
১৭৮। জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি ব্যবহৃত হয় কেন?
উত্তরঃ জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি
ব্যবহৃত হয় কারণ জার্মেনিয়ামের চেয়ে সিলিকন বেশি তাপ সহ্য করতে পারে
এবং সিলিকনের দাম কম।
১৭৯। হোল, ইলেকট্রন ও ডোপিং বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ হোল: হোল বলতে এটমের মধ্যে ইলেকট্রনের ঘাটতি জনিত সৃষ্ট (+) ve চার্জের আধিক্যকে বুঝায়।
ইলেকট্রন: এটি পরমাণুর ক্ষুদ্রতম ও গুরুত্বপূর্ণ কণিকা যা নেগেটিভ চার্জ বহন করে।
ডোপিং: খাঁটি সেমিকন্ডাকটরে ভেজাল মিশ্রিত করে এর পরিবাহীতা বৃদ্ধি করার পদ্ধতি বা কৌশলকে ডোপিং বলে।
১৮০। কো-ভ্যালেন্ট বন্ড ও ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ কো-ভ্যালেন্ট বন্ড: পরমাণুর শেষ
কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহ যে বন্ধনের মাধ্যমে একটি আরেকটির সাথে
সংযুক্ত থাকে সেই বন্ধনকে কো-ভ্যালেন্ড বন্ড বলে।
ভ্যালেন্স ইলেকট্রন: পরমাণুর শেষ কক্ষপাতের ইলেকট্রন সমূহকে ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলে।
১৮১। সেমিকন্ডাকটর কত প্রকার ও কি কি ? এদের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার। ১) খাঁটি সেমিকন্ডাকটর ২) ভেজাল সেমিকন্ডাকটর
খাঁটি সেমিকন্ডাক্টর: ডোপিং এর পূর্বে বিশুদ্ধ সেমিকন্ডাকটরকে খাঁটি সেমিকন্ডাক্টর বলে।
ভেজাল সেমিকন্ডাকটর: ডোপিং এর পরে ভেজালযুক্ত সেমিকন্ডাকটরকে ভেজাল (Extrinsic) সেমিকন্ডাক্টর বলে।
ভেজাল সেমিকন্ডাকটর দুই প্রকার: ১) পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর ২) এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর
পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি
সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ ত্রিযোজি মৌল যেমন:
ইন্ডিয়াম, গ্যালিয়াম, অ্যালূমিনিয়াম ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে
পি-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর বলে।
এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর: কোন খাঁটি
সেমিকন্ডাকটরের সাথে ভেজাল হিসেবে সামান্য পরিমাণ পঞ্চযোজী মৌল যেমন:
আর্সেনিক, এন্টিমনি, ফসফরাস ইত্যাদি মিশ্রিত করা হয় তাকে এন-টাইপ
সেমিকন্ডাক্টর বলে।
১৮২। সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা ও অসুবিধা লিখ। উত্তরঃ সেমিকন্ডাক্টরের সুবিধা: ১) সেমিকন্ডাক্টরে কম পাওয়ার লস হয়। ২) এর কোন তাপশক্তির প্রয়োজন হয় না। ৩) সেমিকন্ডাকক্টরের আয়ুষ্কাল অনেক বেশি। ৪) এটি দ্বারা তৈরী ডিভাইস খুব ছোট হয়। ৫) এটি ভঙ্গুর নয়। সেমিকন্ডাক্টরের অসুবিধা: ১) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে সেমিকন্ডাকটরের কন্ডাকটিভিটি বৃদ্ধি পায়। ২) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে কো – ভ্যালেন্ড বন্ড ভেঙ্গে মুক্ত ইলেকট্রনের সৃষ্টি হয়। ৩) তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে রেজিস্ট্যান্স কমে এবং তাপমাত্রা কমলে রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায়।
১৮৩। বায়াসিং বলতে কি বোঝ? ইহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ কোন ট্রানজিস্টরকে সচল করার জন্য বাহির থেকে যে ডি.সি সাপ্লাই দেয়া হয় তাকে বায়াসিং বলে।
বায়াসিং দুই প্রকার: ১) ফরোয়ার্ড বায়াসিং ২) রিভার্স বায়াসিং
ফরোয়ার্ড বায়াসিং: ব্যাটারির P প্রান্ত
পজিটিভের সাথে এবং N প্রান্ত নেগিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াসিং করা হয়
তাকে ফরোয়ার্ড বায়াসিং বলে।
রিভার্স বায়াসিং: ব্যাটারির P প্রান্ত
নেগিটিভের সাথে এবং N প্রান্ত পজিটিভের সাথে যুক্ত করে যে বায়াসিং
করা হয় তাকে রিভার্স বায়াসিং বলে।
১৮৪। লিকেজ কারেন্ট বলতে কি বোঝায়?
উত্তরঃ মাইনোরিটি ক্যারিয়ারের জন্য পি-এন জাংশন ডায়োডে যে সামান্ন কারেন্ট প্রবাহিত হয় তাকে লিকেজ কারেন্ট বলে।
১৮৫। নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ কাকে বলে?
উত্তরঃ পি-এন জাংশন ডায়োডে ফরোয়ার্ড ভোল্টেজের যে মানে ফরোয়ার্ড কারেন্ট বৃদ্ধি পায় তাকে নী ভোল্টেজ বা অফসেট ভোল্টেজ বলে।
১৮৬। ডিফিউশন ও ডিফিউশন কারেন্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ ডিফিউশন: জাংশন ভেদ করে হোল ও ইলেকট্রনের চলাচলের প্রবণতাকে ডিভিউশন বলে।
ডিফিউশন কারেন্ট: ডিভিউশন এর কারণে উচ্চ অঞ্চল থেকে নিু অঞ্চলে সৃষ্ট কারেন্ট প্রবাহকে ডিভিউশন কারেন্ট বলে।
১৮৭। ডিপ্লে¬শন লেয়ার কাকে বলে?
উত্তরঃ পি-টাইপ ও এন-টাইপ এর সমন্বয়ে যে ইলেক্টিক ফিল্ড সৃষ্টি করে তাকে ডিপ্লে¬শন লেয়ার বলে।
১৮৮। ডায়োডের লোড লাইন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ফরোয়ার্ড বৈশিষ্ট রেখার উপর ডায়োডের কারেন্ট ও ভোল্টেজ এর সঠিক মান নির্নয় করা হয় তাকে ডায়োডের লোড লাইন বলে।
১৮৯। কুইসেন্ট বিন্দু কাকে বলে?
উত্তরঃ ডায়োডের স্ট্যাটিক বৈশিষ্ট রেখা ও
লোড লাইনের ছেদ বিন্দুকেই অপারেটিং বা কুইসেন্ট বিন্দু বলে। এর
মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট লোড রেজিস্টেন্স যে কোন ডায়োডে কি পরিমাণ ভোল্টেজের
জন্য কি পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহ হচ্ছে তা জানতে পরি।
১৯০। ফিল্টার সার্কিট কাকে বলে ? উহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ যে সার্কিটের মাধ্যমে পালসেটিং ডিসি কে খাঁটি ডিসি তে পরিণত করা হয় তাকে ফিল্টার সার্কিট বলে।
ইহা পাঁচ প্রকারঃ ১) সান্ট ক্যাপাসিটর ফিল্টার ২) সিরিজ ইন্ডাক্টর ফিল্টার ৩) ইন্ডাক্টর ও ক্যাপাসিটর ফিল্টার ৪) রেজিস্টেন্স ও ক্যাপাসিটেন্স ফিল্টার ৫) ফিল্টার
১৯১। রিপল ও পালসেটিং ডিসি কাকে বলে?
উত্তরঃ রিপল: রেক্টিফায়ারের আউটপুট
একমুখী হলেও ইহা waveform আকৃতিতে থাকে অর্থাৎ এ আউটপুটে AC এবং DC উভয়
ধরণের কম্পোনেন্ট বিদ্যমান থাকে।
পালসেটিং ডিসি: রেক্টিফায়ারের আউটপুটে
যে ডিসি পাওয়া যায় তা সম্পূর্ণ খাঁটি ডিসি নয়, এতে কিছুটা এসির প্রবণতা বা
বৈশিষ্ট থাকে, এসি যুক্ত এ ডিসিকে পালসেটিং ডিসি বলে।
১৯২। জিনার ডায়োড কি? ইহা কোন রিজিয়নে কাজ করে?
উত্তরঃ অত্যাধিক পরিমাণে ডোপিংকৃত
সিলিকন দ্বারা তৈরি পি.এন. জাংশন ডায়োড, যা রিভার্স বায়াস প্রয়োগে শার্প
ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ প্রদর্শন করে তাকে জিনার ডায়োড বলে। ইহা ব্রেক ডাউন
রিজিয়নে কাজ করে।
১৯৩। জিনার ডায়োডকে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার হিসেবে ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ যদি কোন কারণে লোড কারেন্ট বাড়ে
বা কমে তবে জিনার ডায়োড জিনার ক্রিয়ার মাধ্যমে তার কারেন্টকে সম পরিমাণ
কমিয়ে বা বাড়িয়ে স্থির মানে রাখতে পারে বলে একে ভোল্টেজ ষ্ট্যাবিলাইজার
হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
১৯৪। ডায়াক ও ট্রায়াক এর ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ ট্রায়াকের ব্যবহার: ১) উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ল্যাম্পের সুইচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ২) ইলেক্ট্রনিক সার্কিটের মাধ্যমে ট্রান্সফরমারের ট্যাপ চেঞ্জিং – এ ব্যবহৃত হয়। ৩) রেডিও এর ইন্টাফারেন্স কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ৪) মোটরের গতিবেগ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়। ৫) লাইট কন্ট্রোল সার্কিটে ব্যবহৃত হয়।
ডায়াকের ব্যবহার: ১) ট্রায়াককে ট্রিগারিং করতে ব্যবহৃত হয়। ২) আলো নিয়ন্ত্রণ সার্কিটে ব্যবহৃত হয়। ৩) তাপ নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়। ৪) ইউনিভার্সাল মটরের গতি নিয়ন্ত্রণ করণে ব্যবহৃত হয়।
২৮। কয়েকটি বিশেষ ধরনের ডায়োডের নাম লিখ। উত্তরঃ জিনার ডায়োড, টানেল ডায়োড এবং লাইট ইমিটিং ডায়োড।
উত্তরঃ ভ্যারাক্টর ডায়োড: পরিমিত ভেজাল
মিশ্রিত পি-টাইপ ও এন-টাইপ সেমিকন্ডাক্টর দ্বারা তৈরী রিভার্স বায়াসে
পরিচালিত, যার জাংশন ক্যাপাসিট্যান্স বায়াস পরিবর্তনের সাথে পরিবর্তিত হয়
তাকে ভ্যারাক্টর ডায়োড বলে।
ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি: আউটপুট
কারেন্ট এর সাথে ইনসিডেন্ট লাইট এর অনুপাতকে ফটো ডায়োডের সেনসিটিভিটি
বলা হয়। আউটপুট কারেন্ট ইনসিডেন্ট লাইটের সাথে সুষমভাবে পরিবর্তিত হয়।
১৯৬। সোলার সেল এর অপর নাম কি?
উত্তরঃ ফটো ভোল্টেইক সেল এবং এনার্জি কনভার্টার।
১৯৭। রেকটিফিকেশন কেন করা হয়?
উত্তরঃ এসিকে বা দ্বিমুখী কারেন্টকে একমুখী কারেন্টে রূপান্তর বা রেকটিফাই করার জন্য রেকটিফিকেশন করা হয়।
১৯৮। SCR কে কত ভাবে ON করা যায়?
উত্তরঃ SCR কে পাঁচ ভাবে ON করা যায়, যথা: ১) গেইট ট্রিগারিং পদ্ধতি। ২) থার্মাল ট্রিগারিং পদ্ধতি। ৩) রেডিয়েশন ট্রিগারিং পদ্ধতি। ৪) ভোল্টেজ ট্রিগারিং পদ্ধতি। ৫) ট্রিগারিং পদ্ধতি।
ইলেকট্রিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য কিছু অসাধারণ প্রশ্ন ও উত্তর
২৮।তিনফেজমোটরউল্টাঘুরতেছে,কিভাবেঠিককরবে ? উ: ইহার যে কোন দুই ফেজের জায়গা বদল করে দিতে হবে।
২৯।তিনফেজ১০ঘোড়াইন্ডাকশনমোটরফুললোডেকতকারেন্টনিবে ? উ: ১৫ এম্পিয়ার (প্রতি ঘোড়া ১.৫ এম্পিয়ার হিসাবে)।
৩০।তিনফেজমোটরস্টার্টদেওয়ারসঙ্গেসঙ্গেস্টার্টনেয়নাগোঁগোঁশব্দকরে। উ: (১) তিন ফেজের – কোন এক ফেজে সাপ্লাই নেই (২) মেইন সুইচে কোন ফেজের ফিউজ নেই (৩) মোটরের তিন ফেজ ওয়াইন্ডিং এর কোন ফেজ কাটা, সাপ্লাই পাচ্ছে না (৪) বল বিয়ারিং খুব জ্যাম (৫) মোটরের স্যাপ্ট বাঁকা হয়ে গিয়েছে।
৩১।চলন্তঅবস্থায়তিনফেজমোটরেরএকফেজচলেগেলেকিহবে ? উ : যদি লোড বিহীন অবস্থায় থাকে তবে মোটর
ঘুরতে থাকবে কিন্তু গরম হয়েযাবে এবং ভিন্ন রকম আওয়াজ করবে। আর যদি লোডেড
অবস্থায় থাকে , তবে মোটরসঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে। যদি মেইন সুইচ অফ করে
দেওয়া না হয়, তবে মোটরজ্বলে যাবে।
৩২।তিনফেজ২০ঘোড়ামোটরেরজন্যক্রয়কৃতস্টারডেল্টাস্টার্টার১০ঘোড়াতিনফেজমোটরেরব্যবহারকরাযাবেকি ? উ : হ্যাঁ, যাবে তবে কারেন্ট সেটিং এর মান কমিয়ে দিতে হবে।
৩৬।আর্থরেজিস্ট্যান্সকিভাবেমাপাহয় ? উ : মেগার আর্থ টেস্টারের সাহায্যে
অথবামোটামুটি ভাবে একটি ১০০ওয়াটের বাতি আর্থ তার লাইনের মধ্যে সংযোগ করার
পর যদি উজ্জ্বল ভাবে জ্বলে , তাহলে আর্থিং ভাল আছে।
৩৭।আর্থিংরেজিস্ট্যান্সকতহওয়াবান্ছনীয় ? উ : বাসাবাড়ীর জন্য বেশীর পক্ষে ৫ ওহম এবং সাব স্টেশন ও পাওয়ার লাইনের জন্য বেশীর পক্ষে ১ ওহম হওয়া দরকার।
৩৯।একফেজট্রান্সফরমারদ্বারাতিনফেজসাপ্লাইদেওয়াযায়কি ? উ : হ্যাঁ যায়, ভি ভি বা ওপেন ডেল্টাকানেকশন করে।
৪০।ট্রান্সফরমারহামিংকি ? উ : ট্রান্সফরমারের কোর এবং কয়েল কানেকশন
যদি মজবুত ভাবে না করাথাকে, লুজ কানেকশন থাকে তাহলে ফুল লোড অবস্থায় কাঁপতে
থাকে এবং এক প্রকারআওয়াজ হয়, তাহাই হামিং।
৪১।ট্রান্সফরমারগরমহওয়ারকারনকি ? উ : (১) ওভার লোড হওয়ার জন্য হতে পারে (২) ইন্সুলেশন দুর্বল হয়ে গেলে (৩) কোথাও আর্থ হয়ে গেলে (৪) ওভার ভোল্টেজ সাপ্লাইয়ের জন্য।
৪২।সিলিকাজেলেরস্বাভাবিকরংকিরূপথাকে ? উ : ভাল অবস্থায় ধব ধবে সাদা, কিন্তু জলীয় বাস্প গ্রহন করলে কিছুটা বাদামী রং এর হয়ে যায়,আবার উত্তাপ দিলে ইহা সাদা হয়ে যায়।
৪৩।ট্রান্সফরমারতৈলেরকাজকি ? উ : ইহার প্রধান কাজ দুটি- প্রথমত ইহা ইন্সুলেশনের কাজ করে, দ্বিতীয়ত ট্রান্সফরমারকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্যে করে।
৪৪।ব্রিদারকি ? উ : ইহা ট্রান্সফরমারের কনজার্ভেটরের সহিত
লাগানো থাকে, যার মাধ্যমেবাহির হতে ঠান্ডা বাতাস ফিল্টার হয়ে ট্যাংকে ঢুকে
এবং গরম বাতাস ট্যাংক হতেবাহির হয়ে যায়।
৪৫।বুকল্সরিলেকি ? উ : ইহা এক প্রকার রিলে যাহা ট্রান্সফরমারের
ট্যাংক ও কনজার্ভেটরেরসংযোগকারী পাইপের মধ্যে বসানো থাকে এবং
ট্রান্সফরমারের ভিতরেত্রুটি দেখাদিলে সর্তক ঘন্টা বাজিয়ে থাকে।
৪৯।ডেম্পারওয়্যাইন্ডিংকি ? উ : সিনক্রোনাস মোটরকে র্স্টাট দেওয়ার জন্য
ইহার পোলের উপর মোটাতারের ওয়্যাইন্ডিং দেওয়া হয় এবং ইহা অল্টারনেটরে ও
ব্যবহ্নত হয় হান্টিং দোষকমানোর জন্য।
৫০।সি.বিকি ? উ : সার্কিট ব্রেকার যাহা ক্রটি পূর্ণলাইনকে আপনা আপনি র্সোস হতে বিচ্ছিন্ন করে।
৫১।এ.সিকেডি.সিএবংডি.সিকেএ.সিকিভাবেকরাহয় ? উ :এ.সি কে ডি.সি করা হয় রেকটিফায়ার ও রোটারী কনভার্টার দ্বারা এবং ডি.সি কে এ.সি করা হয় ইনভার্টার দ্বারা।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালেখা
১.পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন পদার্থের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্হিত প্রোটনের মোট সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলে।
২. বদ্ধ ও মুক্ত ইলেকট্রন কী?
উত্তরঃ কাচ,রাবার,মাইকা ইত্যাদি
ইনসুলেটিং পদার্থের বহিস্হ কক্ষপথের ইলেকট্রন গুলো প্রবল আকর্ষণ শক্তি
দ্বারা শক্তভাবে কেন্দ্রের সাথে বাধা থাকে এদেরকে বদ্ধ ইলেকট্রন বলে।
তামা,অ্যালুনিনিয়াম ইত্যাদি পদার্থের
বহিস্হ কক্ষপথের ইলেকট্রন অত্যন্ত হালকাভাবে কেন্দ্রের সাতে আবদ্ধ থাকে
এদেরকে মুক্ত ইলেকট্রন বলে।
৩. কুলম্ব কী?
উত্তরঃ কোনো বৈদ্যুতিক সার্কিটের মধ্য দিয়ে এক সেকেন্ডে যতগুলো ইলেকট্রন প্রবাহিত হয় তাকে S.I এককে এক কুলম্ব বলে। ১ কুলম্ব= ৬.২৫*১০^১৮ টি ইলেকট্রন
৪. বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে কি কি প্রতিক্রিয়া দেখা যায়?
উত্তরঃ পরমাণুর বহিস্হ কক্ষপথের ইলেকট্রন সংখ্যাকে ভ্যালেন্স ইলেকট্রন বলে।
৬. AC ও DC এর মধ্যে মূল পার্থক্য কি ? উত্তরঃ Ac হল দ্বিমুখী প্রবাহ আর Dc হল এক মুখি প্রবাহ AC হচ্ছে বিদ্যুতের দ্বিমুখী প্রবাহ যা আমরা
বাড়ী বা ইন্ড্রাস্ট্রিতে পাই এবং সরবরাহ করা হয় পাওয়ার ইউটিলিটি গ্রিড
থেকে। DC হচ্ছে বিদ্যুতের একমুখী প্রবাহ যা আমরা পাই ব্যাটারি থেকে। AC= Alternating Current DC= Direct Current AC হল পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ প্রবাহ। DC হল অপরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ প্রবাহ।
AC কারেন্ট একটি দিকবর্তী প্রবাহ । যা
প্রতি সেকেন্ডে ৫০ থেকে ৬০ বার দিক পরিবর্তন করে থাকে । অপর দিকে DC হচ্ছ
অপ্রত্যাবর্তী প্রবাহ । যা সময়ের সাথে দিক পরিবর্তন করে না ।
৭. ফ্যান আস্তে অথবা জোরে যেভাবে ছাড়া হোক বিদ্যুৎ কি একই খরচ হয়? উত্তরঃ আমরা সাধারণত দুই প্রকারের ফ্যান
রেগুলেটর ব্যবহার করে থাকি। (ক) ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর (খ) ইলেকট্রনিক
রেগুলেটর। ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর তৈরি হয় ট্যাপিং যুক্ত ইন্ডাকটরের
দ্বারা। বৈদ্যুতিক ফ্যান চলার সময় এই রেগুলেটর কমিয়ে দিলে ফ্যানের রোটেশন
কমে কিন্তু রেগুলেটর উত্তপ্ত হয়। এই অপ্রয়োজনীয় উত্তাপের কারনে বৈদ্যুতিক
পাওয়ার খরচ হয়। ফলে ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি
কম-বেশির সাথে রেগুলেটর লস যথাক্রমে বেশি ও কম হয় ফলে বৈদ্যুতিক পাখার গতি
যাই হোক, বিদ্যুৎ খরচ প্রায় একই হয়। অন্যদিকে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর তৈরি হয়
থাইরিস্টর জাতীয় ইলেকট্রনিক সুইচিং ডিভাইস দিয়ে। এতে অপ্রয়োজনীয় উত্তাপের
পরিমাণ অত্যন্ত নগন্য থাকায় রেগুলেটর লস হয় না বললেই চলে। ফলে বৈদ্যুতিক
পাখার গতি কমালে বিদ্যুৎ খরচ কমে এবং পাখার গতি বাড়ালে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে।
তাই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি কম হলে বিদ্যুৎ খরচও কম
হয় । ভোল্টামিটার এবং অ্যামমিটারকে বর্তনীতে কিভাবে যুক্ত করা হয় ? তড়িৎ বর্তনীর যে দুটি বিন্দুর বিভব প্রভেদ
মাপতে হবে সেই দুটি বিন্দুর সঙ্গে ভোল্টামিটারকে সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত
করা হয় । আবার কোনো তড়িৎ বর্তনীর প্রবাহমাত্রা পরিমাপ করতে অ্যামমিটারকে
তড়িৎবর্তনীতে শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করা হয় । আমিটারকে বর্তনীর সাথে সিরিজে এবং ভোল্টমিটারকে প্যারালালে সংযুক্ত করতে হয়।
৮. ট্রান্সডিউসার ও সেন্সরের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ Transducer – ইহার Output
সাধারনত Analog হয়। ইহা দ্বারা সাধারনত কোন কিছুর চাপ বা Pressure নির্নয়
করা হয়। ইহার Output সাধারনত – 0 – 10V, 0 – 20mah হয়। গঠন : ইহার ভিতরে Coil যুক্ত ডায়াফ্রাম থাকে একটি গোলাকার Iron বা Magnet দন্ডের চারপাশে মিলে, অর্থাৎ গোলাকার দন্ডের মধ্যে। চাপ বা Pressure এর মাধ্যমে উক্ত ডায়াফ্রাম
Core এর মধ্যে Up – Down করে Coil এর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের তারতম্য
ঘটায়। ঐ বিদ্যুৎ প্রবাহের তারতম্য Calculation করে Output নির্ধারণ করা হয়। আর সাধারন Sensor দ্বারা Digital Output পাওয়া যায়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। যে সকল ডিভাইস এক প্রকার শক্তিকে আরেক প্রকার শক্তিতে রুপান্তর করে তাহাই ট্রান্সডিউসার। আর ট্রাসডিউসারকে যখন বিশেষ উদ্দেশ্যে তৈরি কোন যন্ত্রের সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয় তখ তাকে ঐ যন্ত্রের সেন্সর বলা হয়।
৯. এ্যামপিয়ার টার্ন কি? উত্তরঃ ম্যাগনেটিক সার্কিটের তারের পেঁচ ও
প্রবাহিত কারেন্টের গুণফলকে এ্যামপিয়ার টার্ন বলে। এটি ম্যাগনেটো মোটিভ
ফোর্স বা এম.এম.এফ. এর একক। এ্যামপিয়ার টার্ন AT, কারেন্ট I এবং তারের পেঁচ সংখ্যা N হলে, AT = IN
১০. রিল্যাকট্যান্স কি? উত্তরঃ ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স পথের বাধাকে রিল্যাকট্যান্স বলে। এটি ইলেকট্রিক সার্কিটের রেজিস্ট্যান্সের মত। এর প্রতীক R এবং একক এ্যামপিয়ার টার্ন/ওয়েবার। দৈর্ঘ্য L, এ্যাবসলিউট পারমিয়্যাবিলিটি µ, ভ্যাকুয়ামে এ্যাবসলিউট পারমিয়্যাবিলিটি µ০ ক্ষেত্রফল A হলে, R = L/µ0µA
১১. ইলেকট্রো স্ট্যাটিক ফিল্ড কি? উত্তরঃ যে স্থানে একটি একক চার্জ যে বল অনুভব করে তাকে ইলেকট্রো স্ট্যাটিক ফিল্ড বলে।
১২. বৈদ্যুতিক বল রেখার বৈশিষ্ট্য কি? উত্তরঃ ১. বৈদ্যুতিক বল রেখা পজেটিভ চার্জ হতে বের হয়ে নেগেটিভ চার্জে শেষ হয়। ২. বল রেখাগুলো খোলা ও বক্র। ৩. বল রেখাগুলো পরস্পরকে কখনও ছেদ করে না। ৪. বল রেখাগুলো দৈর্ঘ্য বরাবর সংকুচিত হয়। ৫. বল রেখাগুলো পরস্পরের উপর পার্শ্ব চাপ দেয়।
১৩. সাইকেল কি? উত্তরঃ অলটারনেটিং কারেন্ট কোন একদিকে
প্রবাহিত হয়ে শূন্য হতে সর্বোচ্চ অবস্থানে, সর্বোচ্চ অবস্থান হতে আবার
শূন্য অবস্থানে এবং বিপরীতক্রমে শূন্য হতে সর্বোচ্চ অবস্থানে, সর্বোচ্চ
অবস্থান হতে আবার শূন্য অবস্থানে ফিরে আসে তাকে সাইকেল বলে।
১৪. ফ্রিকোয়েন্সী কি? উত্তরঃ কোন পরিবর্তনশীল রাশির প্রতি সেকেন্ডে যতগুলি সাইকেল সস্পন্ন হয় তাকে ফ্রিকোয়েন্সী বলে। একে f দ্বারা প্রকাশ করা হয়। টাইম পিরিয়ড T হলে, f = 1/T
১৫. পিরিয়ড কি? উত্তরঃ কোন পরিবর্তনশীল রাশির এক সাইকেল সম্পন্ন হতে যে সময়ের প্রয়োজন তাকে পিরিয়ড বলে। একে T দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ফ্রিকোয়েন্সী f হলে, T = 1/f
১৬. ফেজ কি? উত্তরঃ পরিবর্তনশীল রাশির কোন নির্দিষ্ট সময়ে এর কৌণিক অবস্থানকে ফেজ বলে।
১৭. ফেজ অ্যাঙ্গেল কি? উত্তরঃ এ.সি. সার্কিটে ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যবর্তী কোণকে ফেজ অ্যাঙ্গেল বলে।
১৮. অলটারনেশন কি? উত্তরঃ পরিবর্তনশীল রাশির অর্ধ সাইকেলকে অলটারনেশন বলে।
১৯. ফর্ম ফ্যাক্টর কি? উত্তরঃ কোন সাইন ওয়েভের আর.এম.এস. এবং গড় মানের অনুপাতকে ফর্ম ফ্যাক্টর বলে। একে Kf দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Kf = আর.এম.এস./ গড় মান
২০. পিক ফ্যাক্টর কি? উত্তরঃ কোন ওয়েভের সর্বোচ্চ মান ও
আর.এম.এস. মানের অনুপাতকে ক্রেস্ট ফ্যাক্টর বা পিক ফ্যাক্টর বা
এ্যামপ্লিচুড ফ্যাক্টর বলে। একে Ka দ্বারা প্রকাশ করা হয়। Ka =
সর্বোচ্চ মান / আর.এম.এস. মান
২১. পাওয়ার ফ্যাক্টর কয় প্রকার? উত্তরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর তিন প্রকারঃ ১. ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Lagging Power Factor). ২. লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Leading Power Factor). ৩. ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর (Unity Power Factor)
২২. পাওয়ার ফ্যাক্টর কি? উত্তরঃ এ.সি. সার্কিটে কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী কোণের কোসাইন মানকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। অথবা অ্যাকটিভ পাওয়ার ও আপাত পাওয়ারের অনুপাতকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী কোণ ϴ হলে, পাওয়ার ফ্যাক্টর (pf) = Cosϴ
২৩. ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর কি? উত্তরঃ এ.সি. সার্কিটে ক্যাপাসিটিভ লোডের
চেয়ে ইন্ডাকটিভ লোড বেশী হলে, কারেন্ট ভোল্টেজের পরে অবস্থান করে,
সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। এই সার্কিটকে ইন্ডাকটিভ সার্কিটও বলে। মনে রাখার সহজ উপায়: E L I ই.এম.এফ.(E) ইন্ডাক্টর(L) কারেন্ট(I) L তে ইন্ডাকটিভ সার্কিট, E তে ই.এম.এফ., I তে কারেন্ট। ইন্ডাকটিভ সার্কিটে ভোল্টেজ আগে, কারেন্ট পরে।
২৪. লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর কি? উত্তরঃ এ.সি. সার্কিটে ইন্ডাকটিভ লোডের
চেয়ে ক্যাপাসিটিভ লোড বেশী হলে, ভোল্টেজ কারেন্টের পরে অবস্থান করে,
সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। এই সার্কিটকে ক্যাপাসিটিভ সার্কিট বলে। মনে রাখার সহজ উপায়: I C E কারেন্ট(I) ক্যাপাসিটর(C) ই.এম.এফ.(E) C তে ক্যাপাসিটিভ সার্কিট, E তে ই.এম.এফ., I তে কারেন্ট। ক্যাপাসিটিভ সার্কিটে কারেন্ট আগে, ভোল্টেজ পরে।
২৫. ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর কি? উত্তরঃ এ.সি. সার্কিটে ইন্ডাকটিভ লোড ও
ক্যাপাসিটিভ লোড সমান হলে, ভোল্টেজ ও কারেন্ট একসাথে অবস্থান করে,
সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। এই সার্কিটকে রেজিস্টিভ সার্কিটও বলা হয়। ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর 1 হয়।
২৬. ইলেকট্রিক ফ্লাক্স ডেনসিটি কি? উত্তরঃ প্রতি একক ক্ষেত্রফলে যে পরিমাণ ইলেকট্রিক ফ্লাক্স অতিক্রম করে তাকে ইলেকট্রিক ফ্লাক্স ডেনসিটি বলে। এর প্রতিক D এবং একক কুলম্ব/বর্গ মিটার।
২৭. ডাই ইলেকট্রিক পদার্থ কি? উত্তরঃ ডাই ইলেকট্রিক শব্দের অর্থ অপরিবাহী। যে সকল পদার্থ বিদ্যুৎ পরিবাহী নয়, মুক্ত ইলেকট্রন নেই এবং বৈদ্যুতিক শক্তিকে সঞ্চয় করে রাখতে পারে তাকে ডাই ইলেকট্রিক পদার্থ বলে।
২৮. ডাই ইলেকট্রিক কনস্ট্যান্ট কি? উত্তরঃ একটি ক্যাপাসিটরের প্লেট সমূহের
মধ্যবর্তী বৈদ্যুতিক বলরেখা গুলোকে কেন্দ্রীভূত করার ডাই ইলেকট্রিক
পদার্থের সামর্থকে ডাই ইলেকট্রিক কনস্ট্যান্ট বলে।
২৯. এক ফ্যারাড কাকে বলে? উত্তরঃ এক ভোল্ট বিভব পার্থক্যর কারণে যদি
ডাই ইলেকট্রিকে এক কুলম্ব ইলেকট্রিক চার্জ সঞ্চিত হয়, তবে ঐ পরিমাণ
ক্যাপাসিট্যান্সকে এক ফ্যারাড বলে।
৩০. ইলেকট্রলাইট কি? উত্তরঃ সেলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য যে তরল বা পেস্ট ব্যাবহার করা হয় তাকে ইলেকট্রলাইট বলে। ইলেকট্রলাইট হিসেবে সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, এ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, এ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড ইত্যাদি ব্যাবহার করা হয়। ড্রাই সেলে পেস্ট ইলেকট্রলাইট এবং লিকুইড সেলে তরল ইলেকট্রলাইট ব্যাবহার করা হয়।
৩০. প্রাইমারী সেল কি? উত্তরঃ যে সেলের শক্তি শেষ হয়ে গেলে পুনরায় একে কর্মক্ষম করা যায় না তাকে প্রাইমারী সেল বলে। অল্প পাওয়ারের প্রয়োজন এমন যায়গায় সাধারণত প্রাইমারী সেল ব্যাবহার করা হয়। যেমনঃ ঘড়ি, রিমোট কন্ট্রোল, খেলনা ইত্যাদি।
৩১. কারেন্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ পরিবাহী পদার্থের মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রন সমূহ একটি নিদ্রিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকেই কারেন্ট বলে।
ইহাকে I বা i দ্বারা প্রকাশ করা হয়, এর একক অ্যাম্পিয়ার (A বা Amp.) অথবা কুলম্ব/সেকেন্ড ।
৩২ ভোল্টেজ কাকে বলে? উত্তরঃ পরিবাহী পদার্থের পরমাণুগুলির মুক্ত ইলেকট্রন সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন সেই বল বা চাপকেই বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে। একে V দ্বারা প্রকাশ করা হয় এর একক Volts.
৩৩. রেজিষ্ট্যান্স কাকে বলে? উত্তরঃ পরিবাহী পদার্থের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় পরিবাহী পদার্থের যে বৈশিষ্ট্য বা ধর্মের কারণে উহা বাধাগ্রস্ত হয় উক্ত বৈশিষ্ট্য বা ধর্মকেই রোধ বা রেজিষ্ট্যান্স বলে। এর প্রতীক R অথবা r, আর একক ওহম (Ω)।
৩৪. ট্রান্সফরমার উত্তরঃ ট্রান্সফরমার একটি ইলেক্ট্রিক্যাল মেশিন যা পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎকে (Alternating current) এক ভোল্টেজ থেকে অন্য ভোল্টেজে রূপান্তরিত করে। ট্রান্সফরমার স্টেপ আপ অথবা স্টেপ ডাউন দুই ধরনের হয়ে থাকে এবং এটি ম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন (Magnetic induction)
নীতি অনুসারে কাজ করে। ট্রান্সফরমারে কোন চলমান/ঘূর্ণায়মান অংশ থাকে না,
এটি সম্পূর্ণ স্থির ডিভাইস। ট্রান্সফরমারে দুটি উইন্ডিং থাকে, প্রাইমারি
এবং সেকেন্ডারি উইন্ডিং । প্রাইমারি ওয়াইন্ডিয়ে ভোল্টেজ প্রদান করলে
ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয় এবং ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স আয়রন কোরের মধ্য দিয়ে
সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিয়ে যায় এবং সেখানে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। যার
ফলশ্রুতিতে সেকেন্ডারি কয়েলে ভোল্টেজ পাওয়া যায়। ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ
পরিবর্তনের হার প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি কয়েলের প্যাঁচ সংখ্যার হারের উপর নির্ভর করে। তবে মনে রাখবেন, ট্রান্সফরমার শুধু ভোল্টেজের পরিবর্তন ঘটায় কিন্তু পাওয়ার ও ফ্রিকুয়েন্সি অপরিবর্তিত থাকে। পাওয়ার ঠিক থাকে তাই ভোল্টেজ পরিবর্তনের জন্য কারেন্টেরও পরিবর্তন হয়।
৩৫. ট্রান্সফরমেশন রেশিও উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের উভয় দিকের ইন্ডিউসড ভোল্টেজ এবং কারেন্ট ও কয়েলের প্যাচের সংখার সাথে একটি নিদ্রিস্ট অনুপাত মেনে চলে, ইহাই ট্রান্সফরমেশন রেশিও বা টার্ন রেশিও। ইহাকে সাধারণত a দ্বারা প্রকাশ করা হয়, অর্থাৎ a = Ep/Es = Np/Ns = Is/Ip
৩৬. ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার উত্তরঃ CT (Current Transformer) এটি
সাধারণত কম রেঞ্জের মিটার দিয়ে সার্কিটের বেশি পরিমান কারেন্ট পরিমাপ করার
জন্য ব্যবহার করা হয়। PT (Potential Transformer) এটি সাধারণত কম রেঞ্জের
মিটার দিয়ে সার্কিটের বেশি পরিমান ভোল্টেজ পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা
হয়। CT ও PT এভাবে ব্যবহার করা হলে এগুলোকে ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার
বলে।
৩৭. সার্কিট ব্রেকার উত্তরঃ সার্কিট ব্রেকার হলো একটি বৈদ্যুতিক
সুইচিং ডিভাইস যা দ্বারা ইলেকট্রিক্যাল সার্কিটকে সাপ্লাই হতে সংযুক্ত ও
বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে এটি ইলেকট্রিক্যাল সার্কিটে নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষনযন্ত্র
হিসাবে কাজ করে। ওভার লোড বা শর্ট সাকিট দেখা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঐ
ইলেকট্রিকাল সার্কিটকে সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তবে সার্কিট ব্রেকার
স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্কিটে সংযোগ করেনা ।
৩৮. আইসোলেটর উত্তরঃ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিশেষ করে ট্রান্সফরমারকে নো-লোড অবস্থায় বা সামান্য লোড অবস্থায় লাইন হতে বিচ্ছিন্ন করার জন্য আইসোলেটর ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ আইসোলেটর এক ধরনের সুইস, যা অফলাইনে অপারেটিং করা হয়।
৩৯. সাব-স্টেশন কাকে বলে? উত্তরঃ পাওয়ার সিস্টেম ব্যবস্থায় সাব-স্টেশন এমন এক কেন্দ্র যেখানে এমন সব সরঞ্জামাদির ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্য যেমন- ভোল্টেজ, এসি/ডিসি কনভার্সন, ফ্রিকুয়েন্সি, পাওয়ার ফ্যাক্টর ইত্যাদির পরিবর্তনে সাহায্য করে, এ ধরনের কেন্দ্রকে সাব-স্টেশন বা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বলে।
৪০. পাওয়ার লাইন ক্যারিয়ার (PLC) উত্তরঃ যে লাইনের মাধ্যমে পাওয়ার স্টেশন, সাব-স্টেশন, রিসিভিং স্টেশনে নিজস্ব জরুরী যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা টেলিফোনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় তাকে পাওয়ার লাইন ক্যারিয়ার (PLC) বলে।
৪১. Q-ফ্যাক্টর উত্তরঃ AC সার্কিটে সিরিজ রেজোন্যান্সের সময়
সার্কিটের L অথবা C এর আড়াআড়িতে ভোল্টেজ প্রয়োগকৃত ভোল্টেজের তুলনায়
বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। রেজোন্যান্সের কারনে সৃষ্ট এই ভোল্টেজ বেড়ে যাওয়াকে
সিরিজ রেজোনেন্ট সার্কিটের Q-ফ্যাক্টর (Quality Factor) বলে।
৪২. পাওয়ার ফ্যাক্টর উত্তরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর হল
একটিভ পাওয়ার অর্থাৎ যে পাওয়ার আমরা ব্যবহার করতে পারি এবং এ্যপারেন্ট
পাওয়ারের অনুপাত। ইহাকে cosθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যার মান 0 হতে 1
পর্যন্ত।
৪৩. লোড ফ্যাক্টর উত্তরঃ গড় লোড এবং সর্বোচ্চ চাহিদার
অনুপাতকে লোড ফ্যাক্টর বলে। Load Factor = Average load/Max. Demand or
Peak load. এর মান ১ এর নিচে হয়।
৪৪. প্লান্ট ফ্যাক্টর উত্তরঃ কোন পাওয়ার প্লান্টের গড় লোড এবং নির্ধারিত রেটেড ক্যাপাসিটির অনুপাতকে প্লান্ট ফ্যাক্টর বলে।
৪৫. একটি আধুনিক এ, সি পাওয়ার সিস্টেমের উপাদানগুলির নাম লিখ।
উত্তরঃ এসি ব্যবস্থায় ট্রান্সমিশন তিন
ফেজে তিন তার এবং ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেএে তিন ফেজ চার তার ব্যবস্থা সাধরণত
ব্যবহৃত হয় । একটি আধুনিক এসি পাওয়ার সিস্টেমের উপাদান সমুহ সাধারণতঃ
নিম্নরূপ হয়ে থাকেঃ- ক] উৎপাদন কেন্দ্র । খ] স্টেপ আপ কেন্দ্র । গ] ট্রান্সমিশন লাইন। ঘ] সুইচিং ষ্টেশন। ঙ] স্টেপ ডাউন উপকেন্দ্র । চ] প্রাইমারী ডিষ্ট্রিবিউশন লাইন বা নেটওয়াক্। ছ] সার্ভিস ট্রান্সফরমার বা বিতরণ ট্রান্সফরমার। জ] সেকেন্ডারি ডিষ্ট্রিবিউশন লাইন।
৪৬. ফিডার কাকে বলে? ফিডার লাইনের বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তরঃ বিভিন্ন জনবহুল এলাকা,
শিল্পাঞ্চল বা আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য উচ্চ ভোল্টেজ উপকেন্দ্র
বা গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে বিভিন্ন লোড সেন্টারে বিদ্যুৎ সরবরাহের নিমিত্তে
যে বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ করা হয় তাকে ফিডার বলে । অর্থাৎ উচ্চ ভোল্টেজ
বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হতে নিন্মচাপের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মধ্যে সংযুক্ত
লাইনের নামই ফিডার । ফিডার লাইনের বৈশিষ্ট্য সমুহ নিন্মরুপঃ ১। ফিডারে কোন ট্যাপিং থাকেনা । ২। কারেন্ট ডেনসিটি সর্বত্র সমান থাকে । ৩। সর্বত্র কারেন্ট ক্যাপাসিটরের উপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয়। ৪। ভোল্টেজ ড্রপ তত গুরত্ত দেওয়া হয় না ।
৪৭. করোনা কি? করোনার ফলে কি কি ইফেক্ট এর সৃষ্টি হয়?
উত্তরঃ যখন ২টি কন্ডাকটর এর Spacing
ব্যাসের তুলনায় বেশি অবস্থায় রেখে তাদের আড়াআড়ি AC Voltage প্রয়োগ করে ধিরে
ধিরে বাড়ানো হয় তখন এমন একটি বিশেষ পর্যায় আশে যে পর্যায়ে কন্ডাকটর এর চার
পাশে বাতাস ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক stress হয়ে আয়নিত হয় এবং বাতাসের ইন্সুলেশন
ষ্ট্রেংথ ভেঙ্গে পড়ে । এই অবস্থায় কন্ডাকটর এর চার পাশে জিম জিম শব্দ
সহকারে যে হালকা অনুজ্জল বেগুনি রশ্মি দেখা যায় এবং ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয়
উহাই করোনা নামে পরিচিত । করোনার ইফেক্ট বা প্রভাবঃ ১। হিমিং বা জিম জিম শব্দ সৃষ্টি করে ২। কন্ডাক্টরের চার পাশে বেগুনি আভা দেখা যায় ৩। ওজন গ্যাসের সৃষ্টি ৪। হারমনিক্স কারেন্টের সৃষ্টি হয় ৫। পাওয়ার লস হয়।
৪৮. করোনার সুবিধা-অসুবিধা কি কি ? উত্তরঃ সুবিধাঃ ১। সার্জ ভোল্টেজ এর ফলে সৃষ্ট ট্রানজিয়েন্ট ইফেক্টকে সীমিত রাখে বলে একে সুইস গিয়ারের Safety bulb হিসাবে ব্যাবহার হয় । ২। করোনার কারনে পরিবাহিদ্বয়ের মাঝে
ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক স্ট্রেস এর মান হ্রাস পায়, কারন এসময় পরিবাহীর চারপাশে
বাতাস পরিবাহী হিসাবে কাজ করে ও পরিবাহীর virtual ব্যাস বৃদ্ধি পায় । অসুবিধাঃ ১। পাওয়ার লস হয় ২। ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয় ৩। পরিবাহী ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ৪। হারমনিক্স এর সৃষ্টি হয় ৫। নিকটবর্তী কমিউনিকেশন লাইনে বিঘ্ন ঘটে ৬। দক্ষতা হ্রাস পায়।
৪৯. করোনা পাওয়ার লস কি? সমিকরনটি লিখ । উত্তরঃ করোনা সংগঠিত হওয়ার কারনে যে পাওয়ার লসের সৃষ্টি হয়, তাকে করোনা লস বলে । ইহাকে p দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।
৫০. স্কিন ইফেক্ট কি? উত্তরঃ এসি বিদ্যুৎ প্রবাহে কোন পরিবাহীর
মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় সে পরিবাহীর ভিতরে প্রবেশ না করে পরিবাহীর
উপরিভাগ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার চেষ্টা করে, এটাকে স্কিন ইফেক্ট বলে । স্কিন
ইফেক্টের কারনে লাইনের রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় ফলে লাইন লসও বৃদ্ধি পায় ।
৫১. ট্রান্সমিশন লাইনে স্কিন ইফেক্ট এর প্রভাব লিখ? কমানোর উপায় কি? উত্তরঃ ট্রান্সমিশন লাইনে স্কিন ইফেক্টের কারনে লাইনের রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় ফলে লাইন লসও বৃদ্ধি পায় । স্কিন ইফেক্ট কমানোর উপায়ঃ ১। কন্ডাক্টরের ব্যাসার্ধ কমিয়ে ২। ফাঁপা সিলিন্ডার আকারের পরিবাহী ব্যাবহার করে ৩। Stranded কন্ডাকটর ব্যবহার করে ৪। ব্যারেল আকৃতির ও Aluminium কন্ডাকটর ব্যবহার করে ।
৫২. প্রক্সিমিটি ইফেক্ট কাকে বলে? ইহার প্রভাব ও কমানোর উপায় লিখ । উত্তরঃ যখন একটি কারেন্ট পরিবাহী এর পাশে
আরেকটি কারেন্ট পরিবাহী থাকে, তখন এর ফ্লাক্স পূর্বের কারেন্ট পরিবাহীতে
সংশ্লিষ্ট হয় । এই ফ্লাক্সের ফলাফল উভয় কন্ডাক্টরের দূরবর্তী অর্ধাংশের
চেয়ে নিকটবর্তী অর্ধাংশে বেশি দেখা যায় । যার ফলে কন্ডাকটর সমগ্র
প্রস্থচ্ছেদ ব্যপিয়া অসম কারেন্ট বণ্টন হতে থাকে এবং স্কিন ইফেক্টের ন্যায়
রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় । এই ঘটনাকে প্রক্সিমিটি ইফেক্ট বলে । প্রভাবঃ এই ইফেক্টের ফলে কন্ডাকটর সমগ্র প্রস্থচ্ছেদ
ব্যপিয়া অসম কারেন্ট বণ্টন হতে থাকে এবং স্কিন ইফেক্টের ন্যায়
রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় ও সেলফ রিয়্যাকট্যান্সের মান হ্রাস পায় । কমানোর উপায়ঃ ১। ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জ কমিয়ে ২। কন্ডাকটর এর স্পেসিং বৃদ্ধি করে ৩। Stranded কন্ডাকটর ব্যবহার করে।
৫৩. এডি কারেন্ট লস কাকে বলে? উত্তরঃ হিসটেরেসিস লস ছাড়াও চৌম্বক উপাদানের মজ্জায় আবর্তমান বা এডি কারেন্টের কারনে কিছু অপচয় হয়, একে এডি কারেন্ট লস বলে।
ডিজিটাল সিস্টেমব্যাবহারেরকারনকি?
ডিজিটাল সিস্টেমের সুবিধা সমুহ হচ্ছেঃ ১) এই সিস্টেমের অপারেশনাল ষ্টেজ দুটি অন ও অফ ২) এই সিস্টেমের সার্কিট ছোট, সহজ ও হাল্কা। ৩) পাওয়ার লস কম হয় ৪) হাই একুরেসি বা উচ্চমান সঠিকটা। ৫) এই সিস্টেমের তথ্য সহজে সংরক্ষন করা যায়। ৬) ইহা উচ্চ গতি সম্পন্ন ও বিশ্বস্ততা বেশি।
নাম্বারিংসিস্টেমগুলোকিকি?
নাম্বারিং সিস্টেমগুলো প্রধানত চার প্রকারঃ 1. Binary Numbering System (ইহার বেস ২,যথা-0,1)
Octal Numbering System (ইহারবেস৮,যথা-0,1,2,3,4,5,6,7)
Decimal Numbering System (ইহারবেস১০,যথা- 0,1,2,3,4,5,6,7,8,9
4.Hexadecimal Numbering System (ইহার বেস১৬, যথা- 0,1,2,3,4,5,6,7,8,9,A,B,C,D,E,F)
এ ছাড়াও আরও কতগুলি নাম্বারিং সিস্টেম আছে, যেমন 1) BCD (8421) code, 2) Excess-3 code, 3) Humming Code, 4) Gray code, 5) ASCII code
বাইনারি সিস্টেমেবিট, নিবল, বাইটবলতেকিবুঝ?
বিট– বাইনারি ডিজিট অর্থাৎ 0,1 এর প্রত্যেকটিকে বিটবলে। নিবল– ৪টি বিট এর গ্রুপকে নিবল বলে।< বাইট– ৮টি বিট এর গ্রুপকে বাইট বলে।
ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র !
ওহমের সূত্র (Ohm’s Law)
1826 সালে জার্মান বিজ্ঞানী ড: জর্জ
সাইমন ওহম কারেন্ট, ভোল্টেজ এবং রেজিস্ট্যান্সের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয়
করেন, এ সম্পর্কই ওহমের সূত্র নামে পরিচিত।
কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে সুষম উষ্ণতায় প্রবাহিত কারেন্ট ঐ পরিবাহীর দুপ্রান্তের ভোল্টেজের সমানুপাতিক।
অথবা
কোন পরিবাহির ভিতর দিয়ে স্থির
তাপমাত্রায় প্রবাহিত কারেন্ট ঐ পরিবাহির দুপ্রান্তের বিভব পার্থক্যের
সমানপাতিক এবং রেজিস্ট্যান্সের বাস্তানুপাতিক।
ওহমের সূত্র মতে, কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V এবং প্রবাহিত কারেন্ট I হলে,
V α I
বা, V = IR এখানে, R = পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স (সমানুপাতিক ধ্রুবক)
ওহমের সূত্রের সীমাবদ্ধতা:
ওহমের সূত্রকে যদিও ইলেকট্রিসিটির গুরু বলে মানা হয়, এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে
১. ওহমের সূত্র DC এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, AC এর ক্ষেত্রে নয়। ২. তাপমাত্রা পরিবর্তন হলে ওহমের সূত্র প্রযোজ্য নয়। ৩. তাপমাত্রা স্থির থাকলেও সিলিকন কার্বাইডের ক্ষেত্রে ওহমের সূত্র প্রযোজ্য নয়। ৪. জটিল সার্কিট সমূহ ওহমের সূত্রের সাহায্যে সমাধান করা যায় না।
ফ্যারাডের ইলেকট্রোলাইসিস সূত্র (Farad’s Law of Electrolysis)
বিখ্যাত বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে ইলেকট্রোলাইসিসের দুটি সূত্র উদ্ভাবন করেন।
প্রথম সূত্র:
ইলেকট্রোলাইসিস প্রক্রিয়ায়
ইলেকট্রোডের উপর জমা হওয়া পদার্থের পরিমাণ, দ্রবণ বা ইলেকট্রোলাইটের ভিতর
দিয়ে প্রবাহিত বিদ্যুতের পরিমাণের সমানুপাতিক।
দ্বিতীয় সূত্র:
ইলেকট্রোলাইসিস প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রোডের উপর জমা হওয়া পদার্থের পরিমাণ এদের তড়িৎ রাসায়নিক সমতুলের সমানুপাতিক।
চার্জের পরিমাণ q প্রবাহিত কারেন্ট i কারেন্ট প্রবাহের সময় t এবং পদর্থের তড়িৎ রাসায়নিক সমতুল Z হলে,
প্রথম সূত্র অনুযায়ী m α q দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী m α Z
লেন্জের সূত্র(Lenz’s law)
লেনজ এর সুত্র একটি সহজ উপায় যার
মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে তড়িৎ চুম্বকীয় বর্তনী নিউটনের ৩য় সুত্র
এবং শক্তির সংরক্ষণ সুত্র মেনে চলে । লেনজ এর সুত্র হেনরিক লেনজ এর
নামানুসারে করা হয়েছে।এতে বলা হয়
একটি প্রবর্তিত তড়িচ্চালক বল সব সময় তড়িৎকে বৃদ্ধি করে যার চুম্বকীয় ক্ষেত্র প্রকৃত চুম্বক প্রবাহের বিরোধিতা করে ।
লেনজ এর সুত্র ফারাডের সুত্রের আবেশ ঋণাত্মক চিহ্ন দেয়
এর থেকে বুঝা যায় যে আবেশিত তড়িচ্চালক বল (ℰ) এবং চুম্বকীয় প্রবাহ (∂ΦB) এর মধ্যে বিপরীত চিহ্ন আছে ।
থেভেনিন থিউরম (Thevenin Theorem)
ই.এম.এফ. এর একাধিক উৎস এবং
রেজিস্ট্যান্স সমন্বয়ে গঠিত একটি জটিল নেটওয়ার্কের দুটি বিন্দুতে সংযুক্ত
একটি লোড রেজিস্ট্যান্সের কারেন্ট একই হবে, যদি লোডটি ই.এম.এফ. এর একটি
মাত্র স্থির উৎসের সাথে সংযুক্ত থাকে। যার ই.এম.এফ. লোডের প্যারালেলে অপেন
সার্কিট ভোল্টেজের সমান এবং যার ইন্টারনাল রেজিস্ট্যান্স দুটি প্রান্ত হতে
বিপরীত দিকের নেটওয়ার্কের রেজিস্ট্যান্টের সমান। ই.এম.এফ. এর উৎসগুলো এদের
সমতুল্য ইন্টারনাল রেজিস্ট্যান্সে স্থলাভিষিক্ত হবে।
সুপার পজিশন থিউরম (Superposition Theorem)
কোন লিনিয়ার বাইলেটারাল
নেটওয়ার্কে একটি বিন্দুতে প্রবাহিত কারেন্ট বা দুটি বিন্দুতে ই.এম.এফ. এর
একাধিক উৎসের কারণে ঐ বিন্দু বা বিন্দুগুলোতে প্রবাহিত আলাদা আলাদা কারেন্ট
সমুহের বা ই.এম.এফ. পার্থক্য সমুহের বীজগাণিতিক যোগফল সমান হবে যদি
প্রতিটি উৎসকে আলাদা আলাদা ভাবে বিবেচনা করা হয় এবং অন্য উৎস গুলোর
প্রতিটি সমমানের ইন্টারনাল রেজিস্ট্যান্সে রূপান্তর করা হয়।
কারশফের সূত্র (Kirchhoff’s Law)
কারশফের কারেন্ট সূত্র (Kirchhoff’s Current Law):
একটি সার্কিটের কোন বিন্দুতে মিলিত কারেন্ট সমুহের বীজগাণিতিক যোগফল সমান।
অথবা
একটি সার্কিটের কোন বিন্দুতে আগত কারেন্ট ও নির্গত কারেন্ট সমান।
কারশফের ভোল্টেজ সূত্র (Kirchhoff’s Voltage Law):
কোন বদ্ধ বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের সকল ই.এম.এফ এবং সকল ভোল্টেজ ড্রপের বীজগাণিতিক যোগফল শূন্য।
কুলম্বের সূত্র (Coulomb’s Law)
প্রথম সূত্র: একই ধরণের চার্জ পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীত ধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে।
দ্বিতীয় সূত্র: দুইটি বিন্দু চার্জের মধ্যে আকর্ষণ বা
বিকর্ষণ বল চার্জ দুইটির পরিমাণের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের মধ্যে
দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।
দুটি বিন্দু চার্জের পরিমাণ যথাক্রমে Q1 ও Q2, এদের মধ্যকার দূরত্ব d হলে,
বল F α Q1Q2/d2
বা, F = k F α Q1Q2/d2 এখানে, K = 9X109 [ধ্রুবক]
এ্যাম্পিয়ারস ল (Ampere’s Law)
ফ্রান্সের গণিত শাস্ত্রবিদ আদ্রেঁ
ম্যারিয়ে এ্যাম্পিয়ার কারেন্টবাহী দুটি পরিবাহীর মধ্যকার বলের সূত্র
আবিষ্কার করেন। তাঁর নাম অনুসারে এই সূত্রের নামকরণ করা হয়।
কারেন্টবাহী দুটি সমান্তরাল
পরিবাহীর মধ্যে ক্রিয়াশীল বল পরিবাহী দুইটির দৈর্ঘ্য এবং এদের মধ্যদিয়ে
প্রবাহীত কারেন্টের গুণফলের সমানুপাতিক এবং পরিবাহী দুইটির মধ্যকার
দূরত্বের ব্যস্তানুপাতিক।
যদি ক্রিয়াশীল বল F, কারেন্ট I1 ও I2, পরিবাহী দুইটির দৈর্ঘ্য L, পরিবাহী দুইটির মধ্যকার দূরত্ব r হয়,
তবে, F α I1I2L/r
বা, F = 2X10-7I1I2L/r এখানে, 2X10-7= সমানুপাতিক ধ্রুবক
ফ্লেমিং এর লেফট হ্যান্ড রুল (Fleming’s Left Hand Rule)
বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী এবং
মধ্যমাকে পরস্পর সমকোণে রেখে বিস্তৃত করলে, তর্জনী চুম্বক বলরেখার দিক ও
মধ্যমা কারেন্টের দিক নির্দেশ করলে, বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহী তারের ঘূর্ণন দিক
নির্দেশ করবে।
এই সূত্রের সাহায্যে মোটরের ঘূর্ণন দিক বের করা যায়।
বৃটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল ১৮৭৩ সালে কর্ক-স্ক্রুর সাহায্যে চুম্বক বলরেখার দিক নির্ণয়ের সূত্র বের করেন।
পরিবাহীর যেদিকে কারেন্ট প্রবাহিত
হয়, সে দিকে ডান হাতে কর্ক-স্ক্রুকে ঘুরালে বৃদ্ধাঙ্গুলি যেদিকে ঘুরে
সেদিকে চুম্বক বলরেখার দিক নির্দেশ করবে।
এম্পিয়ারস সুইমিং রুল (Ampere’s Swimming Rule)
বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে
প্রবাহীত কারেন্টের দিকে যদি কোনো ব্যাক্তি পরিবাহীর উপর এমন ভাবে সাঁতার
দেয়, যাতে পরিবাহীর কাছে রাখা কম্পাস চুম্বকের দিকে তার মুখ থাকে, তবে ঐ
ব্যাক্তির বাম হাত যেদিকে প্রসারিত হবে, কম্পাস চুম্বকের উত্তর মেরু সেদিকে
বিক্ষেপ দেখাবে অর্থাৎ ঐদিকে চুম্বক বলরেখার অভিমুখ হবে।
রাইট হ্যান্ড রুল (Right Hand Rule)
কারেন্ট প্রবাহের দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি
রেখে ডান হাত দিয়ে পরিবাহি তারকে মুষ্টি বদ্ধ করলে, তার বেষ্টনকারী
আঙ্গুলগুলো তারের চতুপার্শ্বে বৃত্তাকার বল রেখার দিক নির্দেশ করবে।
জুলের সূত্র (Joules Law)
১৮৪১ সালে ইংরেজ বিজ্ঞানী ডঃ জেমস প্রেস্কট জুল তাপ সম্পর্কিত একটি সূত্র উদ্ভাবন করেন, যা জুলের সূত্র নামে পরিচিত হয়।
যদি তাপকে H, কারেন্টকে I, রেজিস্ট্যান্সকে R এবং সময় কে t দিয়ে প্রকাশ করা হয়, তবে গানিতিক ভাবে লেখা যায়ঃ ১. H α I2, যখন R এবং t ধ্রুব ২. H α R, যখন I এবং t ধ্রুব ৩. H α t, যখন I এবং R ধ্রুব
অতএব, H α I2Rt বা H=I2RT/J এখনে, J = 4200 জুল/কিলো ক্যালোরি মেকানিক্যাল ইকুভেলেন্ট অফ হিট (সমানুপাতিক ধ্রুবক)
রেজিস্ট্যান্সের সূত্র (Resistance Law)
একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি
পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স দৈর্ঘ্যের সমানুপাতিক, প্রস্থের বাস্তানুপাতিক এবং
এর রেজিস্ট্যান্স পরিবাহি পদার্থের আপেক্ষিক রেজিস্ট্যান্সের উপর নির্ভর
করে।
রেজিস্ট্যান্স R, প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল A এবং দৈর্ঘ্য L হলে,
R α L/A
বা, R = ρL/a এখানে, ρ= স্পেসিফিক রেজিস্ট্যান্স (সমানুপাতিক ধ্রুবক)
ইলেকট্রিক্যাল ছাত্রদের জন্য কিছু সাধারণ প্রশ্ন ? ও উত্তর!
১। একটি আধুনিক এ, সি পাওয়ার সিস্টেমের উপাদানগুলির নাম লিখ
এসি ব্যবস্থায় ট্রান্সমিশন তিন ফেজে তিন
তার এবং ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেএে তিন ফেজ চার তার ব্যবস্থা সাধরণত ব্যবহৃত
হয় । একটি আধুনিক এসি পাওয়ার সিস্টেমের উপাদান সমুহ সাধারণতঃ নিম্নরূপ হয়ে
থাকেঃ- ক] উৎপাদন কেন্দ্র । খ] স্টেপ আপ কেন্দ্র । গ] ট্রান্সমিশন লাইন। ঘ] সুইচিং ষ্টেশন। ঙ] স্টেপ ডাউন উপকেন্দ্র । চ] প্রাইমারী ডিষ্ট্রিবিউশন লাইন বা নেটওয়াক্। ছ] সার্ভিস ট্রান্সফরমার বা বিতরণ ট্রান্সফরমার। জ] সেকেন্ডারি ডিষ্ট্রিবিউশন লাইন।
ফিডার কাকে বলে? ফিডার লাইনের বৈশিষ্ট্য কি কি?
বিভিন্ন জনবহুল এলাকা, শিল্পাঞ্চল বা
আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য উচ্চ ভোল্টেজ উপকেন্দ্র বা গ্রিড
উপকেন্দ্র থেকে বিভিন্ন লোড সেন্টারে বিদ্যুৎ সরবরাহের নিমিত্তে যে
বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ করা হয় তাকে ফিডার বলে । অর্থাৎ উচ্চ ভোল্টেজ
বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হতে নিন্মচাপের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মধ্যে সংযুক্ত
লাইনের নামই ফিডার । ফিডার লাইনের বৈশিষ্ট্য সমুহ নিন্মরুপঃ ১। ফিডারে কোন ট্যাপিং থাকেনা । ২। কারেন্ট ডেনসিটি সর্বত্র সমান থাকে । ৩। সর্বত্র কারেন্ট ক্যাপাসিটরের উপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয় । ৪। ভোল্টেজ ড্রপ তত গুরত্ত দেওয়া হয় না ।
করোনা কি? করোনার ফলে কি কি ইফেক্ট এর সৃষ্টি হয়?
যখন ২টি কন্ডাকটর এর Spacing ব্যাসের
তুলনায় বেশি অবস্থায় রেখে তাদের আড়াআড়ি AC Voltage প্রয়োগ করে ধিরে ধিরে
বাড়ানো হয় তখন এমন একটি বিশেষ পর্যায় আশে যে পর্যায়ে কন্ডাকটর এর চার পাশে
বাতাস ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক stress হয়ে আয়নিত হয় এবং বাতাসের ইন্সুলেশন
ষ্ট্রেংথ ভেঙ্গে পড়ে । এই অবস্থায় কন্ডাকটর এর চার পাশে জিম জিম শব্দ
সহকারে যে হালকা অনুজ্জল বেগুনি রশ্মি দেখা যায় এবং ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয়
উহাই করোনা নামে পরিচিত । করোনার ইফেক্ট বা প্রভাবঃ ১। হিমিং বা জিম জিম শব্দ সৃষ্টি করে ২। কন্ডাক্টরের চার পাশে বেগুনি আভা দেখা যায় ৩। ওজন গ্যাসের সৃষ্টি ৪। হারমনিক্স কারেন্টের সৃষ্টি হয় ৫। পাওয়ার লস হয়
করোনার সুবিধা-অসুবিধা কি কি ?
সুবিধাঃ ১। সার্জ ভোল্টেজ এর ফলে সৃষ্ট ট্রানজিয়েন্ট ইফেক্টকে সীমিত রাখে বলে একে সুইস গিয়ারের Safety bulb হিসাবে ব্যাবহার হয় । ২। করোনার কারনে পরিবাহিদ্বয়ের মাঝে
ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক স্ট্রেস এর মান হ্রাস পায়, কারন এসময় পরিবাহীর চারপাশে
বাতাস পরিবাহী হিসাবে কাজ করে ও পরিবাহীর virtual ব্যাস বৃদ্ধি পায় । অসুবিধাঃ ১। পাওয়ার লস হয় ২। ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয় ৩। পরিবাহী ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ৪। হারমনিক্স এর সৃষ্টি হয় ৫। নিকটবর্তী কমিউনিকেশন লাইনে বিঘ্ন ঘটে ৬। দক্ষতা হ্রাস পায়
করোনা পাওয়ার লস কি? সমিকরনটি লিখ ।
করোনা সংগঠিত হওয়ার কারনে যে পাওয়ার লসের সৃষ্টি হয়, তাকে করোনা লস বলে । ইহাকে p দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।
স্কিন ইফেক্ট কি?
এসি বিদ্যুৎ প্রবাহে কোন পরিবাহীর মধ্য
দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় সে পরিবাহীর ভিতরে প্রবেশ না করে পরিবাহীর উপরিভাগ
দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার চেষ্টা করে, এটাকে স্কিন ইফেক্ট বলে । স্কিন ইফেক্টের
কারনে লাইনের রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় ফলে লাইন লসও বৃদ্ধি পায় ।
ট্রান্সমিশন লাইনে স্কিন ইফেক্ট এর প্রভাব লিখ? কমানোর উপায় কি?
ট্রান্সমিশন লাইনে স্কিন ইফেক্টের কারনে লাইনের রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় ফলে লাইন লসও বৃদ্ধি পায় । স্কিন ইফেক্ট কমানোর উপায়ঃ ১। কন্ডাক্টরের ব্যাসার্ধ কমিয়ে ২। ফাঁপা সিলিন্ডার আকারের পরিবাহী ব্যাবহার করে ৩। Stranded কন্ডাকটর ব্যবহার করে ৪। ব্যারেল আকৃতির ও Aluminium কন্ডাকটর ব্যবহার করে ।
প্রক্সিমিটি ইফেক্ট কাকে বলে? ইহার প্রভাব ও কমানোর উপায় লিখ ।
যখন একটি কারেন্ট পরিবাহী এর পাশে আরেকটি
কারেন্ট পরিবাহী থাকে, তখন এর ফ্লাক্স পূর্বের কারেন্ট পরিবাহীতে
সংশ্লিষ্ট হয় । এই ফ্লাক্সের ফলাফল উভয় কন্ডাক্টরের দূরবর্তী অর্ধাংশের
চেয়ে নিকটবর্তী অর্ধাংশে বেশি দেখা যায় । যার ফলে কন্ডাকটর সমগ্র
প্রস্থচ্ছেদ ব্যপিয়া অসম কারেন্ট বণ্টন হতে থাকে এবং স্কিন ইফেক্টের ন্যায়
রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় । এই ঘটনাকে প্রক্সিমিটি ইফেক্ট বলে । প্রভাবঃ
এই ইফেক্টের ফলে কন্ডাকটর সমগ্র
প্রস্থচ্ছেদ ব্যপিয়া অসম কারেন্ট বণ্টন হতে থাকে এবং স্কিন ইফেক্টের ন্যায়
রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় ও সেলফ রিয়্যাকট্যান্সের মান হ্রাস পায় । কমানোর উপায়ঃ ১। ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জ কমিয়ে ২। কন্ডাকটর এর স্পেসিং বৃদ্ধি করে ৩। Stranded কন্ডাকটর ব্যবহার করে
এডি কারেন্ট লস কাকে বলে?
হিসটেরেসিস লস ছাড়াও চৌম্বক উপাদানের মজ্জায় আবর্তমান বা এডি কারেন্টের কারনে কিছু অপচয় হয়, একে এডি কারেন্ট লস বলে।
যখন কোন পরিবাহী বা কন্ডাকটরের সাথে
সংশ্লিষ্ট চৌম্বক ফ্লাক্স পরিবর্তিত হয়, তখন পরিবাহীটির ভিতরে একটি ই. এম.
এফ আবিষ্ট হয়। যদি পরিবাহীটি একটি লুপ বা সার্কিট গঠন করে, তবে এতে কারেন্ট
প্রবাহিত হবে। এই প্রক্রিয়াকেই বিদ্যুচৌম্বক আবেশ (Eletromagnetic
Induction) বলে।
ফ্যারাডের সূত্র লিখ।
প্রথম সুত্রঃ একটি তার বা কয়েলে ই. এম.
এফ আবিষ্ট হয় তখন, যখন উক্ত তার বা কয়েলের সাথে সংশ্লিষ্ট চৌম্বক ফ্লাক্স
বা চৌম্বক বল রেখার পরিবর্তন ঘটে। দ্বিতীয় সুত্রঃ আবেশিত বিদ্যুচ্চালক বল এর পরিমান চৌম্বক বল রেখার পরিবর্তনের হারের সাথে সরাসরি সমানুপাতিক। উপরোক্ত সূত্র দুটি একত্রে এভাবে লেখা যায়ঃ
একটি পরিবাহী এবং একটি চৌম্বক ক্ষেত্রে আপেক্ষিক গতি যখন এরুপভাবে বিদ্যমান
থাকে যে, পরিবাহীটি চৌম্বক ক্ষেত্রটিকে কর্তন করে, তখন পরিবাহিতে আবেশিত
একটি বিদ্যুচ্চালক বল সংঘটিত কর্তনের হারের সাথে সমানুপাতিক।
লেনজের সূত্র লিখ।
আবেশিত বিদ্যুচ্চালক বলের কারনে পরিবাহী
তারে প্রবাহিত আবেশিত কারেন্ট পরিবাহী তারের চারপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র
সৃষ্টি করে, যা দারা আবেশিত কারেন্টের উৎপত্তি, উহাকেই (অর্থাৎ পরিবর্তনশীল
ফ্লাক্স) এ (সৃষ্ট চৌম্বক ক্ষেত্র) বাধা প্রদান করে ।
লেনজের সূত্র কোথায় ব্যবহার হয়?
যেখানে পরিবাহী স্থির এবং চৌম্বক ক্ষেত্র গতিতে থাকে সেখানে লেনজের সূত্র ব্যবহার হয়।
ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল কি?
দক্ষিণ হস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী ও
মধ্যমাকে পরস্পর সমকোণে রেখে বিস্তৃত করলে যদি তর্জনী চৌম্বক বলরেখার
অভিমুখ এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহী তারের ঘূর্ণনের অভিমুখ নির্দেশ করে, তবে
মধ্যমা পরিবাহিতে প্রবাহিত আবেশিত কারেন্টের অভিমুখ নির্দেশ করেবে। ইহাই
ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল।
ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল কোথায় প্রযোজ্য হয়?
যেখানে চৌম্বক ক্ষেত্র স্থির এবং পরিবাহী গতিতে থাকে, সেখানে ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল ব্যবহার করা হয়।
মিউচুয়াল ইনডাকট্যাঁন্স কাকে বলে?
যে বৈশিষ্ট্য বা ধর্মের কারনে পাশাপাশি
দুটি কয়েলে একটির কারেন্টের পরিবর্তনের ফলে অন্যটিতে ভোল্টেজ আবিষ্ট হয়
উক্ত ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যকে মিউচুয়াল ইনডাকট্যাঁন্স বলে।
সেলফ ইনডাকট্যাঁন্স কাকে বলে?
এটা কয়েলের এমন একটি ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য, যা কয়েলে প্রবাহিত কারেন্ট বা কয়েলের চারদিকের ফ্লাক্সের হ্রাস- বৃদ্ধিতে বাধা দান করে।
হিসটেরেসিস কাকে বলে?
চৌম্বক গুণাবলীর কিছুটা অংশ চৌম্বক পদার্থ কত্রিক নিজের মধ্যে রেখে দেয়ার প্রবনতাকেই হিসটেরেসিস বলে।
চৌম্বকী করন চক্র কাকে বলে?
একটি লোহাকে চুম্বকে পরিনত করা, আবার
চুম্বকহীন করা এবং আবার চুম্বকে পরিনত করা, আবার চুম্বকহীন করা, এই
প্রক্রিয়া অনবরত চলতেই থাকলে এই প্রক্রিয়াকেই চৌম্বকী করন চক্র (সাইকেল অব
ম্যাগনেটাইজেশন) বলে।
ম্যাগনেটাইজেশন বা B-H কার্ভ কি?
X- এক্সিস কে ম্যাগনেটাইজিং ফোরস (H) এবং
Y- এক্সিস কে ফ্লাক্স ডেনসিটি (B) হিসেবে ধরে যে কার্ভ আকা হয় তাকে
ম্যাগনেটাইজেশন বা B-H কার্ভ বলে।
এডি কারেন্ট কি?
যখন একটি বৈদ্যুতিক চুম্বকের কয়েলের
মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট পরিবর্তিত হতে থাকে, তখন চৌম্বক ক্ষেত্রও
পরিবর্তিত হতে থাকে। এই পরিবর্তনশীল ফ্লাক্স কয়েলের তারকে কর্তন করে, ফলে
কয়েলে একটি ভোল্টেজের সৃষ্টি হয়। একই সময়ে এই ফ্লাক্স লৌহ দণ্ডকেও কর্তন
করে। ফলে এই লৌহ দণ্ডেও ভোল্টেজের সৃষ্টি হয়। এই ভোল্টেজের কারনে লৌহ দণ্ডে
একটি কারেন্ট আবর্তিত হতে থাকে, এই আবর্তিত কারেন্টকেই এডি কারেন্ট বলে।
এডি কারেন্ট লস কাকে বলে?
হিসটেরেসিস লস ছাড়াও চৌম্বক উপাদানের মজ্জায় আবর্তমান বা এডি কারেন্টের কারনে কিছু অপচয় হয়, একে এডি কারেন্ট লস বলে।
প্রশ্নঃ লো ভোল্টেজে মোটর চালালে কি মোটর পুড়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে?
আমরা বাসা বাড়িতে ফ্যান বলতে বুঝি সিলিং
ফ্যান টেবিল ফ্যান,ওয়াল ফ্যান ,স্ট্যান্ড ফ্যান ইত্যাদি।দেখতে আলাদা হলেও
সবই আসলে একই জিনিস।
সবই সিঙ্গেল ফেজ ইন্ডাকশন মোটর।কোনো
মোটরের ক্ষমতা নির্ভর করে মূলত ভোল্টেজ আর কারেন্টের উপর।একই শক্তি পাওয়ার
জন্য যদি ভোল্টেজ কমান তা হতে তার সাথে কারেন্ট বাড়াতে হবে আবার যদি
কারেন্ট কমাতে চান তা হলে ভোলেজ বাড়াতে হবে। কিন্তু প্রতিটা মোটরেরই
সর্বোচ্চ ভোল্টেজ বা কারেন্ট লিমিট আছে তার বেশী দেওয়া হলে সেটি অবধারিত ভাবে খারাপ হবে।
বিভিন্ন কলকারখানা তে সাধারনত যে
মোটরগুলি রিওয়াইন্ডিং এর দরকার হয় তাদের বেশীরভাগের কয়েল পুড়ে যাওয়ার
কারন লো ভোল্টেজ।মনে করুন মেসিন একটা নির্দিষ্ট লোড নিয়ে কাজ করছে, হটাৎ
করে ভোল্টজ লো হয়ে গেল এখন মোটর চাইবে তার শক্তি কন্সট্যান্ট রাখতে ফলে
সাপ্লাই থেকে আরো বেশী কারেন্ট টানবে।
কোনো তারের ভিতর দিয়ে যখন বিদ্যুৎ
প্রবাহ হয় তখন তার টি গরম হতে থাকে এই তাপ উৎপাদনের হার তারের ভিতর দিয়ে
যাওয়া কারেন্টের বর্গের সমানুপাতিক। মানে কারেন্ট দ্বিগুন বাড়লে তাপ চার
গুন বাড়বে। ঠিক এই কারনে লো ভোল্টেজে লোড সহ মোটর বেশী কারেন্ট টানে ফলে মোটরের ওয়াইন্ডিং এর তার খুব গরম হয়ে যায় এবং একসময় পুড়ে যায়।
এই লো ভোল্টেজ থেকে আমরা মোটরকে বাচানোর
জন্য আন্ডারভোল্টেজ রিলে ও সার্কিট ব্রেকার লাগানোর পরামর্শ দিই। কাষ্টমার
রা সাধারনত বড় মোটর গুলির প্রোটেকশন এর জন্য আমাদের বলেন কিন্তু ছোট
মোটরগুলিই খারাপ হয় বেশী।
এত গেল ইন্ডাস্ট্রিয়াল থ্রি ফেজ মোটরের কথা। এবার একটা মজাদার প্রশঙ্গে আসি। বলুন তো পাখা তে লোড কী? পাখার লোড কি সবসময় এক থাকে?
এক তো পাখার নিজের ব্লেডের ওজন কে তা প্রথমে তার স্থিতিজাড্য থেকে সরাতে হয় তাই ব্লেডের ওজন অবশ্যই একটা লোড লোড।
আর একটা লোড আছে তা হল ভিস্কাস ফ্রিকশান(
viscous friction ) লোড। যারা ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন তারা ভালো
বুঝতে পারবেন।দুটি তলের মধ্যে ভিস্কাস ফ্রিকশন তাদের রিলেটিভ ভেলোসিটির উপর
নির্ভর করে।এর অর্থ হল এই যদি একটি বাতাসের স্তর আর পাখার ব্লেড কে তল
হিসাবে কল্পনা করি তা হলে ফ্যানের ব্লেডের স্পীড যত বাড়বে বাতাস ফ্যানের
ব্লেড কে ঘুরতে তত বেশী বাধা দেবে।এই বাধা টপকনোর জন্য ফ্যানের মোটর কে আরো
বেশী শক্তি প্রদান করতে হবে। যারা ফ্যানের মোটর ডিজাইন করে তারা স্টেডি
স্টেট পাওয়ার এর কথা বিবেচনা করেই ডিজাইন করে।
ভোল্টেজ কম হলে মোটর স্লো হয়ে যায় ফলে
স্লিপ বেড়ে যায় ।যার ফলে রোটর কারেন্টের ফ্রীকোয়েন্সী বেড়ে যায় ফলে
রোটরের পাওয়ার লস বেড়ে যায় ও রোটর গরম হতে শুরু করে। বেশীর ভাগ মোটরের
রোটর সলিড স্কুইরেল কেজ টাইপের হওয়ার জন্য পোড়ে না কিন্তু স্টেটর
ওয়াইন্ডীং পুড়ে যায়।
ভোল্টেজ যদি খুব কম না হয় (১৫০- ১৮০ভোল্ট) তা হলে চালাতে পারেন তেমন কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ভোল্টেজ এর কম হলে চালাবেন না।
কিন্তু মনে করুন আপনি রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমিয়ে গেছেন আর ভোল্টেজ খুব লো হয়ে গেছে তা হলে কি করবেন?
আমাদের কাছে এমন ডিভাইস আছে যা ভোল্টেজ
লো হলেই অটোমেটিক ফ্যান কে ডিস্কানেক্ট করে দেবে। তা আর বাড়িতে লাগিয়ে
কাজ নেই খাজনার থেকে বাজনা বেশী হয়ে যাবে।এগুলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পারপাশে
ইউজ হয়।
প্রশ্নঃ ১)ইনভার্টার কোথায় ব্যাবহার করবো? কেন করবো? ২) স্টার-ডেল্টা কেন ব্যবহার করবো? ৩) সফট স্টার্টার কেন ব্যবহার করবো???
১। ইনভার্টার কোথায় ব্যাবহার করবো? কেন করবো?
ইনভার্টার বা ভিএফডি বা ড্রাইভ মূলত ব্যাবহার করা হয় লোডের স্পিড বা গতিকে কন্ট্রোল করার জন্য।
ধরুন আপনার একটি কনভেয়ার বেল্ট আছে। যাকে আপনার মাঝে মাঝে 10m/minute এ ঘুরাতে হবে।আবার মাঝে মাঝে 5 m/minute ঘুরাতে হবে।
তাহলে আপনি এই বেল্টের স্পিড কিভাবে
কন্ট্রোল করবেন? অবশ্যই ঘুরানোর জন্য যে মোটর আছে তার স্পিড কন্ট্রোল
করবেন।আর এর স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য আপনাকে ইনভার্টার / ভিএফডি / ড্রাইভ
ব্যাবহার করতে হবে।
ইনভার্টার / ভিএফডি/ ড্রাইভ দিয়ে মোটরের
লোড নেওয়ার ক্ষমতাকে কমবেশী করা যায়।ধরুন আপনার মোটরটি সর্বোচ্চ Weight
10kg উঠাতে পারবে।এখন আপনার প্রয়োজন ৫ কেজির বেশী হলে আপনার ওই মোটর ওভার
লোড হয়ে বন্ধ হয়ে যাবে।
এটা কিভাবে করবেন? Its simple, Inverter
থেকে Program করে টর্ক ক্যাপাসিটি কমিয়ে দিন। ইনভার্টার ব্যাবহার করার ফলে
আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার মোটরকে বা লোডকে যখন খুশি বা যেভাবে খুশি
নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন।যার ফলে আপনার বিদ্যুৎ ও সাশ্রয় হচ্ছে।
২) স্টার-ডেল্টা কেন ব্যবহার করবো?
স্টার টু ডেল্টাঃ ধরুন আপনার কাছে এমন
একটি বড় মোটর আছে, যার স্টার্টিং টর্ক অনেক বেশী লাগে। যার ফলে স্টার্টি এর
সময় অনেক Amp এর প্রয়োজন হয়।
এমতাবস্থায় এ মোটরটি রান হওয়ার সময় আপনার ওভারঅল পাওয়ার সাপ্লাই এর উপর প্রভাব ফেলবে।
ভেবে দেখুন হঠাৎ করে যদি আপনার পাওয়ার
কনজামশন অনেক বেড়ে গিয়ে আবার যদি হঠাৎ কমে যায় তাহলে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই
এর তো বারোটা বাজবেই তার সাথে সাথে অন্য লোড এবং ডিভাইসেরও বারোটা বাজবে।
পাওয়ার সাপ্লাই যদি জেনারেটর থেকে হয়
তাহলে তো অবস্থা আরো খারাপ। যাইহোক ইঞ্জিনিয়ারগন এ ঝামেলা থেকে মুক্তির
জন্য সিম্পল একটি সিস্টেম অনুসরন করেন তা হল স্টার টু ডেল্টা।
আমরা জানি স্টার এ ডেল্টা থেকে অপেক্ষা
কৃত কম পাওয়ারের প্রয়োজন হয়। তাই বড় বড় লোডগুলি প্রথমে ৩/৫/৬ সেকেন্ড এর
জন্য স্টার এ রানিং করে পরে তাকে ডেল্টাতে চালানো হয়।স্টার ডেল্টা কানেকশন
কখনো স্পিড কন্ট্রোলে ব্যাবহার হয় না।
ইনভার্টার ব্যাবহার করলে স্টার টু ডেল্টা
কানেকশন এর প্রয়োজন নেই।ইনভার্টারের এক্সিলারেশন টাইম( Acceleration time
অর্থাৎ সে চালু হতে কত সময় নিবে) এবং De-Acceleration time অর্থাৎ বন্ধ হতে
কত সময় নিবে, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোগ্রাম করে দিতে পারবেন। সুতরাং
এখানে স্টার টু ডেল্টার কোন প্রয়োজন নেই।
৩) সফট স্টার্টার কেন ব্যবহার করবো???
সফট স্টার্টারঃ প্রথমেই জেনে নেই সফট স্টার্টার কেন ব্যাবহার হয়। এর নামকরনটা ভালভাবে খেয়াল করলে এর সম্পর্কে আইডিয়া করা যায়।
এর কাজ অনেকটাই স্টার টু ডেল্টার মতই।বড়
বড় মোটরের স্টার্টিং এর সময় টোটাল সিস্টেমে এবং পাওয়ারের উপর যেন ক্ষতিকর
প্রভাব না পড়ে সেজন্য সফট স্টার্টার ব্যাবহার করা হয়।
এর কাজ হচ্ছে মোটরকে প্রোগ্রামিং অনুযায়ী ধীরে ধীরে চালু করা। এখন বলতে পারেন ভাই ইনভার্টার তো একই কাজ করে।
ইনভার্টার / ভিএফডি/ ড্রাইভ এর সাথে সফট
স্টার্টারের কিছু পার্থক্য আছে।সাধারনত যেখানে মোটর রানিং বা ফুল লোড
অবস্থায়অবস্থায় স্পিড কন্ট্রোলের প্রয়োজন নেই বা সামান্য স্পিড কন্ট্রোলের
প্রয়োজন সেখানে সফট স্টার্টার ব্যাবহার করা হয়।
আর যেখানে সবসময় স্পিড কন্ট্রোলের প্রয়োজন হয় সেখানে ইনভার্টার বা ড্রাইভ বা ভিএফডি ব্যাবহার করা হয়।
যেখানে স্টার্টিং টর্ক নিম্ন বা মিডিয়াম
সেখানে সফট স্টার্টার আর যেখানে High, low, medium starting torque লাগবে
সেখানে Inverter/VFD/ Drive ব্যাবহার করতে হবে।
চিত্রঃ সফট স্টার্টার
বৈদ্যুতিক লাইনে গ্রাউন্ডিং এর প্রয়োজনীয়তা ও ইলেকট্রিক শক
বিদ্যুৎ আমাদের জন্য আশির্বাদ স্বরূপ। আধুনিক যুগে বিদ্যুৎ ছাড়া কোন কিছুই চিন্তা করা যায় না। সেই সাথে বৈদ্যুতিকশক হলো জীবননাশকারী একটি ব্যাপার। এসি বিদ্যুত আবিষ্কার করবার
পর, এটা যে প্রাণঘাতী এবং তা ব্যবহার করা ঠিক হবে না এই প্রচারে আলভা
এডিসন নেমেছিলেন তার ডিসি বিদ্যুতের বাজার ঠিক রাখবার জন্য।
আমাদের বাসাবাড়িতে ২২০ ভোল্টের বিদ্যুত
ব্যবহার করা হয় এবং বড়যন্ত্র সহ ট্রান্সমিশন লাইনে আরও বেশী ভোল্টেজ থাকতে
পারে। আমাদের ব্যবহার করা অনেক যন্ত্র কম ভোল্টেজে চলবার পরও কাজের
প্রয়োজনে বেশী ভোল্টেজ উৎপন্ন করতে পারে এর ভিতরের সার্কিট এর
মাধ্যমে। তাই ইলেকট্রিক শক থেকে বাঁচবার জন্য সাধারণত গ্রাউন্ডিং বা
আর্থিং করা হয়ে থাকে যন্ত্রপাতি ও লাইন। এতে করে শক পাওয়া বন্ধ করা না
গেলেও তা যেন প্রাণঘাতি না হয় সে ব্যাপারে কিছুটা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
হবিস্ট থেকে শুরু করে প্রফেশনাল পর্যন্ত আমরা যারা সার্কিট নিয়ে কাজ করি তাদের বৈদ্যুতিক শক সম্বন্ধে সচেতন থাকা একান্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। সাধারণত আমাদের তৈরী করা সার্কিট থেকে
একটি তারের মাধ্যমে আমরা লাইন স্থাপন করা হয় যে বাক্সে, তাতে গ্রাউন্ড
সংযোগ করি নয়েজ ও শক প্রতিরোধ করবার জন্য। অনেক সময় কম্পিউটারের গায়ে হাত
লাগলে আমরা মৃদু শক অনুভব করি এই কারণেই। সঠিক ভাবে গ্রাউন্ডিং/আর্থিং না
থাকবার ফলে এই শকের ঘটনা ঘটে।
আমরা যদি আমাদের বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ
দেখি তবে দেখবো যে মিটারের সাথে বা মুল কানেকশন থেকে একটি জি আই তারের (GI
Wire) মাধ্যমে লাইন টেনে তা মাটিতে স্থাপন করা হয় যা গ্রাউন্ডিং এর কাজে
লাগে। এটা ঠিক মতো না থাকলে বা নিয়ম অনুযায়ী স্থাপন না করলে আপনার বাড়িতে
বৈদ্যুতিক সংযোগ হবার কথা না। তবুও অনেক বাড়িতে এটা ঠিক ভাবে থাকে না। এই
ঠিক না থাকবার বিষয়টি সাধারণত অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণে হয়ে থাকে যা মোটেও
ঠিক না। এর ফলে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে
এবং সচরাচর হয়েও থাকে। সুতরাং এইগ্রাউন্ডিংনিয়েঅবহেলাকরাউচিৎনা।
বাসা বাড়িতে তিন পিনের প্লাগ ব্যবহার
করা হয়ে থাকে মুলত এই গ্রাউন্ডিং নিশ্চিত করবার জন্যই কিন্তু আমরা দুই
পিনের প্লাগ ব্যবহার করেই অভ্যস্ত যা সেফটির দিক থেকে ঠিকনা যদিনা সঠিক
গ্রাউন্ডিং না থাকে। নীচের ছবিটা আসুন দেখি –
বৈদ্যুতিকশক এর মূল কারন কি তা ডায়াগ্রাম আকারে দেখানো হয়েছে
VC = (VS X R2)/(R1+R2)
এখানে R2 এর মান শূণ্য হলে অর্থাত গ্রাউন্ডিং লাইনের কানেকশন থাকলে চেসিসের গায়ে কোন ভোল্টেজ থাকবে না। কিন্তু R2 এর মান অসীম হলে বা R2 না থাকলে একটি ভোল্টেজ থাকবে যা বিপজ্জনক হতে পারে। একে বলে স্ট্রেইমপিডেন্স (Stray Impedance)।
এই স্ট্রে ইমপিডেন্সের কারণেই অনেক সময় কম্পিউটার বা মেটাল কেবিনেট যুক্ত
বৈদ্যুতিক যন্ত্রতে হাত দিয়ে স্পর্শ করলে শকের অনুভূতি পাওয়া যায়। আর এই R2 টিই গ্রাউন্ডিং বা অন্যভাবে আর্থিং বলে।
আশাকরি গ্রাউন্ডিং কেন প্রয়োজন একটু হলেও পরিষ্কার হয়েছে সবার কাছে।
এখন এসি লাইন
যদি চেসিসের সাথে কোন কারণ বশত শর্ট হয় তবে বাঁচবার কোন রাস্তা থাকে না
এবং সরাসরি বিদ্যুত শরীরদিয়ে প্রবাহিত হয়ে মৃত্যুর ঝুকি সৃষ্টি করে। আরেকটি
ডায়াগ্রাম থাকলে বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে, তাহলে চলুন দেখি –
এখানেগ্রাউন্ডলাইনসঠিকথাকলে মানুষ
স্পর্শ করবার পরেও প্রবাহিত মোট বিদ্যুত দুই ভাগে ভাগ হয়ে প্রবাহিত হবে।
গ্রাউন্ড লাইনের রোধ কম হওয়াতে বেশীরভাগ বিদ্যুত গ্রাউন্ড লাইন দিয়ে
প্রবাহিত হবে এবং মানুষের শরীর দিয়ে কম বিদ্যুৎ যাবে।
এতে করে খুব অল্প শক খাবার পরও মানুষের বেঁচে যাবার একটি সম্ভাবনা থাকে তবে যদিগ্রাউন্ডলাইননাথাকেতবেসম্পুর্ণবিদ্যুতশরীরেরভিতরদিয়েপ্রবাহিতহবারকারণেমারাত্মকশকহবে যা প্রাণঘাতী হবার সম্ভবনাই বেশী।
এখানে উল্লেখ্য যে শুকনো অবস্থায় মানুষের শরীরের রোধ ১ লক্ষ ওহম পর্যন্ত হতে পারে তবে ভেজা অবস্থায় তা ১০০০ ওহম থেকে কয়েক ওহমে নেমে আসতে পারে। এর জন্যই ভেজাশরীরেশকবেশীমারাত্মকহয় এবং ভেজা শরীরে বৈদ্যুতিক কাজ করা বেশী বিপদ জনক।
এই ছোট্ট লিখা থেকে সঠিক
গ্রাউন্ডিং/আর্থিং এর প্রয়োজনীয়তা আশা করি বুঝা গেছে। তাই গ্রাউন্ডিং নিয়ে
আর অবহেলা নয়। আজই আপনার বাড়িতে সঠিক গ্রাউন্ডিং আছে কিনা তা পরীক্ষা করে
নিন এবং না থাকলে তা সঠিক ভাবে স্থাপন করবার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ
করুণ।
বিদ্যুত আশীর্বাদ তবে বৈদ্যুতিক শক
জীবনঘাতি এটা মনে রাখবেন। এবং সেই সাথে এটা মনে রাখতে হবে বিদ্যুত কোন
অবস্থায়ই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাওকে কোন প্রকার খাতির যত্ন করবে না।
আমরা যদি আমাদের বাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ
দেখি তবে দেখবো যে মিটারের সাথে বা মুল কানেকশন থেকে একটি জি আই তারের (GI
Wire) মাধ্যমে লাইন টেনে তা মাটিতে স্থাপন করা হয় যা গ্রাউন্ডিং এর কাজে
লাগে। এটা ঠিক মতো না থাকলে বা নিয়ম অনুযায়ী স্থাপন না করলে আপনার বাড়িতে
বৈদ্যুতিক সংযোগ হবার কথা না। তবুও অনেক বাড়িতে এটা ঠিক ভাবে থাকে না। এই
ঠিক না থাকবার বিষয়টি সাধারণত অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণে হয়ে থাকে যা মোটেও
ঠিক না। এর ফলে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে
এবং সচরাচর হয়েও থাকে। সুতরাং এইগ্রাউন্ডিংনিয়েঅবহেলাকরাউচিৎনা।
হবিস্ট থেকে শুরু করে প্রফেশনাল পর্যন্ত আমরা যারা সার্কিট নিয়ে কাজ করি তাদের বৈদ্যুতিক শক সম্বন্ধে সচেতন থাকা একান্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। সাধারণত আমাদের তৈরী করা সার্কিট থেকে
একটি তারের মাধ্যমে আমরা লাইন স্থাপন করা হয় যে বাক্সে, তাতে গ্রাউন্ড
সংযোগ করি নয়েজ ও শক প্রতিরোধ করবার জন্য। অনেক সময় কম্পিউটারের গায়ে হাত
লাগলে আমরা মৃদু শক অনুভব করি এই কারণেই। সঠিক ভাবে গ্রাউন্ডিং/আর্থিং না
থাকবার ফলে এই শকের ঘটনা ঘটে।
আমাদের বাসাবাড়িতে ২২০ ভোল্টের বিদ্যুত
ব্যবহার করা হয় এবং বড়যন্ত্র সহ ট্রান্সমিশন লাইনে আরও বেশী ভোল্টেজ থাকতে
পারে। আমাদের ব্যবহার করা অনেক যন্ত্র কম ভোল্টেজে চলবার পরও কাজের
প্রয়োজনে বেশী ভোল্টেজ উৎপন্ন করতে পারে এর ভিতরের সার্কিট এর
মাধ্যমে। তাই ইলেকট্রিক শক থেকে বাঁচবার জন্য সাধারণত গ্রাউন্ডিং বা
আর্থিং করা হয়ে থাকে যন্ত্রপাতি ও লাইন। এতে করে শক পাওয়া বন্ধ করা না
গেলেও তা যেন প্রাণঘাতি না হয় সে ব্যাপারে কিছুটা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
বিদ্যুৎ আমাদের জন্য আশির্বাদ স্বরূপ। আধুনিক যুগে বিদ্যুৎ ছাড়া কোন কিছুই চিন্তা করা যায় না। সেই সাথে বৈদ্যুতিকশক হলো জীবননাশকারী একটি ব্যাপার। এসি বিদ্যুত আবিষ্কার করবার
পর, এটা যে প্রাণঘাতী এবং তা ব্যবহার করা ঠিক হবে না এই প্রচারে আলভা
এডিসন নেমেছিলেন তার ডিসি বিদ্যুতের বাজার ঠিক রাখবার জন্য।
বৈদ্যুতিক লাইনে গ্রাউন্ডিং এর প্রয়োজনীয়তা ও ইলেকট্রিক শক
প্রশ্নঃ
১)ইনভার্টার কোথায় ব্যাবহার করবো? কেন করবো? ২) স্টার-ডেল্টা কেন ব্যবহার করবো? ৩) সফট স্টার্টার কেন ব্যবহার করবো???
১। ইনভার্টার কোথায় ব্যাবহার করবো? কেন করবো?
ইনভার্টার বা ভিএফডি বা ড্রাইভ মূলত ব্যাবহার করা হয় লোডের স্পিড বা গতিকে কন্ট্রোল করার জন্য।
ধরুন আপনার একটি কনভেয়ার বেল্ট আছে। যাকে আপনার মাঝে মাঝে 10m/minute এ ঘুরাতে হবে।আবার মাঝে মাঝে 5 m/minute ঘুরাতে হবে।
তাহলে আপনি এই বেল্টের স্পিড কিভাবে
কন্ট্রোল করবেন? অবশ্যই ঘুরানোর জন্য যে মোটর আছে তার স্পিড কন্ট্রোল
করবেন।আর এর স্পিড কন্ট্রোল করার জন্য আপনাকে ইনভার্টার / ভিএফডি / ড্রাইভ
ব্যাবহার করতে হবে।
ইনভার্টার / ভিএফডি/ ড্রাইভ দিয়ে মোটরের
লোড নেওয়ার ক্ষমতাকে কমবেশী করা যায়।ধরুন আপনার মোটরটি সর্বোচ্চ Weight
10kg উঠাতে পারবে।এখন আপনার প্রয়োজন ৫ কেজির বেশী হলে আপনার ওই মোটর ওভার
লোড হয়ে বন্ধ হয়ে যাবে।
এটা কিভাবে করবেন? Its simple, Inverter
থেকে Program করে টর্ক ক্যাপাসিটি কমিয়ে দিন। ইনভার্টার ব্যাবহার করার ফলে
আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার মোটরকে বা লোডকে যখন খুশি বা যেভাবে খুশি
নিয়ন্ত্রন করতে পারছেন।যার ফলে আপনার বিদ্যুৎ ও সাশ্রয় হচ্ছে।
২) স্টার-ডেল্টা কেন ব্যবহার করবো?
স্টার টু ডেল্টাঃ ধরুন আপনার কাছে এমন
একটি বড় মোটর আছে, যার স্টার্টিং টর্ক অনেক বেশী লাগে। যার ফলে স্টার্টি এর
সময় অনেক Amp এর প্রয়োজন হয়।
এমতাবস্থায় এ মোটরটি রান হওয়ার সময় আপনার ওভারঅল পাওয়ার সাপ্লাই এর উপর প্রভাব ফেলবে।
ভেবে দেখুন হঠাৎ করে যদি আপনার পাওয়ার
কনজামশন অনেক বেড়ে গিয়ে আবার যদি হঠাৎ কমে যায় তাহলে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই
এর তো বারোটা বাজবেই তার সাথে সাথে অন্য লোড এবং ডিভাইসেরও বারোটা বাজবে।
পাওয়ার সাপ্লাই যদি জেনারেটর থেকে হয়
তাহলে তো অবস্থা আরো খারাপ। যাইহোক ইঞ্জিনিয়ারগন এ ঝামেলা থেকে মুক্তির
জন্য সিম্পল একটি সিস্টেম অনুসরন করেন তা হল স্টার টু ডেল্টা।
আমরা জানি স্টার এ ডেল্টা থেকে অপেক্ষা
কৃত কম পাওয়ারের প্রয়োজন হয়। তাই বড় বড় লোডগুলি প্রথমে ৩/৫/৬ সেকেন্ড এর
জন্য স্টার এ রানিং করে পরে তাকে ডেল্টাতে চালানো হয়।স্টার ডেল্টা কানেকশন
কখনো স্পিড কন্ট্রোলে ব্যাবহার হয় না।
ইনভার্টার ব্যাবহার করলে স্টার টু ডেল্টা
কানেকশন এর প্রয়োজন নেই।ইনভার্টারের এক্সিলারেশন টাইম( Acceleration time
অর্থাৎ সে চালু হতে কত সময় নিবে) এবং De-Acceleration time অর্থাৎ বন্ধ হতে
কত সময় নিবে, আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোগ্রাম করে দিতে পারবেন। সুতরাং
এখানে স্টার টু ডেল্টার কোন প্রয়োজন নেই।
৩) সফট স্টার্টার কেন ব্যবহার করবো???
সফট স্টার্টারঃ প্রথমেই জেনে নেই সফট স্টার্টার কেন ব্যাবহার হয়। এর নামকরনটা ভালভাবে খেয়াল করলে এর সম্পর্কে আইডিয়া করা যায়।
এর কাজ অনেকটাই স্টার টু ডেল্টার মতই।বড়
বড় মোটরের স্টার্টিং এর সময় টোটাল সিস্টেমে এবং পাওয়ারের উপর যেন ক্ষতিকর
প্রভাব না পড়ে সেজন্য সফট স্টার্টার ব্যাবহার করা হয়।
এর কাজ হচ্ছে মোটরকে প্রোগ্রামিং অনুযায়ী ধীরে ধীরে চালু করা। এখন বলতে পারেন ভাই ইনভার্টার তো একই কাজ করে।
ইনভার্টার / ভিএফডি/ ড্রাইভ এর সাথে সফট
স্টার্টারের কিছু পার্থক্য আছে।সাধারনত যেখানে মোটর রানিং বা ফুল লোড
অবস্থায়অবস্থায় স্পিড কন্ট্রোলের প্রয়োজন নেই বা সামান্য স্পিড কন্ট্রোলের
প্রয়োজন সেখানে সফট স্টার্টার ব্যাবহার করা হয়।
আর যেখানে সবসময় স্পিড কন্ট্রোলের প্রয়োজন হয় সেখানে ইনভার্টার বা ড্রাইভ বা ভিএফডি ব্যাবহার করা হয়।
যেখানে স্টার্টিং টর্ক নিম্ন বা মিডিয়াম
সেখানে সফট স্টার্টার আর যেখানে High, low, medium starting torque লাগবে
সেখানে Inverter/VFD/ Drive ব্যাবহার করতে হবে।
প্রশ্নঃ লো ভোল্টেজে মোটর চালালে কি মোটর পুড়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে?
আমরা বাসা বাড়িতে ফ্যান বলতে বুঝি সিলিং
ফ্যান টেবিল ফ্যান,ওয়াল ফ্যান ,স্ট্যান্ড ফ্যান ইত্যাদি।দেখতে আলাদা হলেও
সবই আসলে একই জিনিস।
সবই সিঙ্গেল ফেজ ইন্ডাকশন মোটর।কোনো
মোটরের ক্ষমতা নির্ভর করে মূলত ভোল্টেজ আর কারেন্টের উপর।একই শক্তি পাওয়ার
জন্য যদি ভোল্টেজ কমান তা হতে তার সাথে কারেন্ট বাড়াতে হবে আবার যদি
কারেন্ট কমাতে চান তা হলে ভোলেজ বাড়াতে হবে। কিন্তু প্রতিটা মোটরেরই
সর্বোচ্চ ভোল্টেজ বা কারেন্ট লিমিট আছে তার বেশী দেওয়া হলে সেটি অবধারিত ভাবে খারাপ হবে।
বিভিন্ন কলকারখানা তে সাধারনত যে
মোটরগুলি রিওয়াইন্ডিং এর দরকার হয় তাদের বেশীরভাগের কয়েল পুড়ে যাওয়ার
কারন লো ভোল্টেজ।মনে করুন মেসিন একটা নির্দিষ্ট লোড নিয়ে কাজ করছে, হটাৎ
করে ভোল্টজ লো হয়ে গেল এখন মোটর চাইবে তার শক্তি কন্সট্যান্ট রাখতে ফলে
সাপ্লাই থেকে আরো বেশী কারেন্ট টানবে।
কোনো তারের ভিতর দিয়ে যখন বিদ্যুৎ
প্রবাহ হয় তখন তার টি গরম হতে থাকে এই তাপ উৎপাদনের হার তারের ভিতর দিয়ে
যাওয়া কারেন্টের বর্গের সমানুপাতিক। মানে কারেন্ট দ্বিগুন বাড়লে তাপ চার
গুন বাড়বে। ঠিক এই কারনে লো ভোল্টেজে লোড সহ মোটর বেশী কারেন্ট টানে ফলে মোটরের ওয়াইন্ডিং এর তার খুব গরম হয়ে যায় এবং একসময় পুড়ে যায়।
এই লো ভোল্টেজ থেকে আমরা মোটরকে বাচানোর
জন্য আন্ডারভোল্টেজ রিলে ও সার্কিট ব্রেকার লাগানোর পরামর্শ দিই। কাষ্টমার
রা সাধারনত বড় মোটর গুলির প্রোটেকশন এর জন্য আমাদের বলেন কিন্তু ছোট
মোটরগুলিই খারাপ হয় বেশী।
এত গেল ইন্ডাস্ট্রিয়াল থ্রি ফেজ মোটরের কথা। এবার একটা মজাদার প্রশঙ্গে আসি। বলুন তো পাখা তে লোড কী? পাখার লোড কি সবসময় এক থাকে?
এক তো পাখার নিজের ব্লেডের ওজন কে তা প্রথমে তার স্থিতিজাড্য থেকে সরাতে হয় তাই ব্লেডের ওজন অবশ্যই একটা লোড লোড।
আর একটা লোড আছে তা হল ভিস্কাস ফ্রিকশান(
viscous friction ) লোড। যারা ফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করছেন তারা ভালো
বুঝতে পারবেন।দুটি তলের মধ্যে ভিস্কাস ফ্রিকশন তাদের রিলেটিভ ভেলোসিটির উপর
নির্ভর করে।এর অর্থ হল এই যদি একটি বাতাসের স্তর আর পাখার ব্লেড কে তল
হিসাবে কল্পনা করি তা হলে ফ্যানের ব্লেডের স্পীড যত বাড়বে বাতাস ফ্যানের
ব্লেড কে ঘুরতে তত বেশী বাধা দেবে।এই বাধা টপকনোর জন্য ফ্যানের মোটর কে আরো
বেশী শক্তি প্রদান করতে হবে। যারা ফ্যানের মোটর ডিজাইন করে তারা স্টেডি
স্টেট পাওয়ার এর কথা বিবেচনা করেই ডিজাইন করে।
ভোল্টেজ কম হলে মোটর স্লো হয়ে যায় ফলে
স্লিপ বেড়ে যায় ।যার ফলে রোটর কারেন্টের ফ্রীকোয়েন্সী বেড়ে যায় ফলে
রোটরের পাওয়ার লস বেড়ে যায় ও রোটর গরম হতে শুরু করে। বেশীর ভাগ মোটরের
রোটর সলিড স্কুইরেল কেজ টাইপের হওয়ার জন্য পোড়ে না কিন্তু স্টেটর
ওয়াইন্ডীং পুড়ে যায়।
ভোল্টেজ যদি খুব কম না হয় (১৫০- ১৮০ভোল্ট) তা হলে চালাতে পারেন তেমন কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ভোল্টেজ এর কম হলে চালাবেন না।
কিন্তু মনে করুন আপনি রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমিয়ে গেছেন আর ভোল্টেজ খুব লো হয়ে গেছে তা হলে কি করবেন?
আমাদের কাছে এমন ডিভাইস আছে যা ভোল্টেজ
লো হলেই অটোমেটিক ফ্যান কে ডিস্কানেক্ট করে দেবে। তা আর বাড়িতে লাগিয়ে
কাজ নেই খাজনার থেকে বাজনা বেশী হয়ে যাবে।এগুলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পারপাশে
ইউজ হয়।
বিদ্যুত আশীর্বাদ তবে বৈদ্যুতিক শক
জীবনঘাতি এটা মনে রাখবেন। এবং সেই সাথে এটা মনে রাখতে হবে বিদ্যুত কোন
অবস্থায়ই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাওকে কোন প্রকার খাতির যত্ন করবে না।